তৃপ্তি পাল কর্মকার: করোনার জেরে আপাতত দুটি হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল হাট কমিটি। সপ্তাহে দুদিন হাট বসে দাসপুর ২-ব্লকের কামালপুরে। সোম আর শুক্রবার। বেশ বড় হাট তাই প্রচুর লোকসমাগম হয়। পাইকারি এবং খুচরো দুই প্রকার বেচাকেনা চলে। তাই অনেকটা বেলা পর্যন্তই হুড়োহুড়ি ভিড় থাকে।
বর্তমানে করোনা মহামারী ছড়িয়েছে সারা বিশ্বে। ভারত সরকার একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল হয়নি। সেই জন্য হাট বসছিল। তাতে দেখা গেল খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে ক্রেতা, কারোর কোনও সচেতনতা নেই। মুখে মাস্ক নেই। পিচ থুতু কফ সব পড়ছে বিপুল জনসমাগমের মধ্যে।
এর ওপর আছে ভিন রাজ্য থেকে আসা মানুষ। তারাও হাটে জিনিস কিনতে আসছে। কোনও ভাবে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে, তার থেকে বহু মানুষ হাটে এসেই আক্রান্ত হয়ে যাবেন বলে শঙ্কা করছেন হাট পরিচালন সমিতির সদস্য স্বপন আলু। তাই আপাতত আগামী দুটি হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাট পরিচালন সমিতির সম্পাদক শঙ্কর আলু বলেন, আমরা দুটো হাট বন্ধ রাখার পর পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবো কবে থেকে আবার হাট বসবে। এইজন্য আমরা এলাকায় প্রচার করে দিয়েছি। স্বপনবাবু বলেন, গ্রামগঞ্জের মানুষ প্রয়োজনে কৃষকের কাছ থেকে সবজি সংগ্রহ করতে পারবেন। দুটো হাট বন্ধ থাকলে খুব একটা সমস্যা হবে না।