তৃপ্তি পাল কর্মকার: দাসপুরের বিজেপি নেতাকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রূপনারায়াণ নদের চর থেকে উদ্ধার করা হল। ওই নেতার নাম প্রশান্ত বেরা। তিনি বিজেপির ঘাটাল লোকসভা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি দাসপুর থানার জোতঘনশ্যামে। আজ ১৯ নভেম্বর ভোরে জেলেরা মাছ ধরতে গিয়ে কোলাঘাটের রূপনারায়ণ নদের চরে প্রশান্তবাবুকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগনান হাসপাতালে পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি এখনও আইসিইউতে রয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রাতে ডেবরা থেকে দলীয় মিটিং সেরে কোলাঘাট হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন প্রশান্তবাবু। রাতে যশাড়ে তিনি যখন ট্রেকার ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেই সময় কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে পিছনদিক থেকে মুখ চেপে টানতে টানতে মারতে মারতে নিয়ে যায়। সেই সময় জলের সঙ্গে কিছু জিনিস মিশিয়ে জোর করে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপর নাউপালাতে রূপনারায়ণ ব্রিজের উপর থেকে নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। প্রশান্তবাবু জলে না পড়ে নদী চরের জল কাদায় অচৈতন্য অবস্থায় সারারাত পড়েছিলেন। বিজেপির দাসপুর বিধান সভার শিক্ষক সংগঠনের ইনচার্জ চিন্ময় চক্রবর্তী তমলুকে আই সি ইউতে থাকা প্রশান্তবাবুর কাছ থেকেই ওই ঘটনা জেনেছেন। চিন্ময়বাবু বলেন, প্রশান্তবাবুকে ব্রিজথেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। প্রশান্তবাবুর মোবাইল ফোনটা নদীতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিল তা দুষ্কৃতীরা কাড়িয়ে নেয়। এটি রাজনৈতিক আক্রমণ বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলই প্রশান্তবাবুকে ওই ভাবে জখম করেছে বলে চিন্ময়বাবু অভিযোগ তুলেছেন। যদিও এবিষয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইঞা বলেন, ঘটনাটি কী ঘটেছিল জানি না। তবে তৃণমূল ওই ভাবে দুষ্কর্ম করতে যাবে না। ব্যক্তিগত আক্রোশেই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে হচ্ছে।