মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: দ্বিতীয়বার দিদি নাম্বার ওয়ানে জায়গা করে নিল দাসপুরের ছোট্ট অঙ্কনা। মাত্র ১০ বছর বয়সে নিজের সুরেলা কন্ঠের যাদুতে নজর কেড়েছে অনেকেরই। এবার নিজের গানের প্রতিভা পৌঁছে গেল দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। গান তার সাথেই প্রতি রাউন্ডের খেলায় বাজিমাত করে জিতেও এলো অঙ্কনা। আমরা প্রত্যেকেই জানি বাংলার একটি জনপ্রিয় গেম শো দিদি নাম্বার ওয়ান। যার সঞ্চালনা করেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চারটি
রাউণ্ডে খেলাটি পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগীরা এই মঞ্চে এসে প্রতি রাউণ্ডের খেলায় নিজেদের বুদ্ধির পরিচয় দেন। খেলা শেষে বিজয়ী ও অন্যান্য প্রতিযোগীদের নানা ধরনের উপহার দেওয়া হয়ে থাকে।
সেই দিদি নাম্বার ওয়ানের চূড়ান্ত সুটিঙে থেকেই সেরা হয়ে ফিরল ঘাটালের মেয়ে অঙ্কনা। দাসপুর-১ ব্লকের ফকিরবাজারে বাড়ি অঙ্কনার। সুলতাননগর প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সে। পড়াশোনার পাশাপাশি সংগীতের চর্চাও সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে। অঙ্কনার
বাবা অনুপম দে পেশায় একজন অস্থায়ী বিএড কলেজের লাইব্রেরিয়ান তার পাশাপাশি মাউথঅরগান বাজান, তার সাথে মা কুহু বিদ দেও খুব ভালো মঞ্চশিল্পী। তাই বলা যেতে পারে পারিবারিক সূত্রেই গানের দিকে ঝোঁকটা বরাবরই। অন্যদিকে মামা দাদু কার্তিকচন্দ্র বিদও একজন বিখ্যাত কীর্তনীয়া ছিলেন। তাই সংগীত চর্চা যেন অঙ্কনার রক্তে মিশে রয়েছে।
কুহুদেবী বলেন, এর আগেও ২০১৮ সালে শিশুদের এপিসোডে দিদি নাম্বার ওয়ানে চান্স পেয়েছিল আমার মেয়ে। তখন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। তারপর ২০২১ এ এসে আবারও চান্স পায় এবং বিজয়ী হয়। ২ আগস্ট রাতে অনলাইনে অডিশন হয় এবং রাত্রি আটটা নাগাদ জানতে পারি আমার মেয়ে সিলেক্ট হয়েছে। কলকাতার রাজারহাটে ডিআরআর স্টুডিওতে পরেরদিন ৩ আগস্ট তার সুটিং হয়। যদিও টেলিকাস্টের ডেট এখনও জানাননি তাঁরা।
মেয়ের এই ধরনের প্রতিভা এবং দিদি নাম্বার ওয়ানের মতো জনপ্রিয় শোয়ের মঞ্চ থেকে জিতে আসায় খুশি হয়েছেন অঙ্কনার পরিবার পরিজনেরা। ছোট্ট মেয়ের অসাধারণ প্রতিভা দেখে গর্বিত মহকুমাবাসী। সেরা হওয়ার সুবাদে বেশ কিছু পুরষ্কারও পেয়েছে অঙ্কনা। অঙ্কনার এই প্রতিভা আগামীদিনে আরও ছোট ছেলেমেয়েদের প্রেরণা জাগাবে এমনই আশা রাখছেন প্রত্যেকে।