বিকাশ আদক, ‘স্থানীয় সংবাদ’, চন্দ্রকোণা: আজকের দিনে যেখানে পারিবারিক পুজো, ছোটোখাটো উৎসব, আনন্দ বেশিরভাগ ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের অন্তর্গত ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এর ধর্মপোতা গ্রামের ৩৫ জন যুবকের উদ্যোগে সম্মিলিতভাবে রাস্তায় দেখা গেল অভিনব বিশ্বকর্মা পুজো। সবার ঘরেই তো বিশ্বকর্মা পুজো হয়, তাতে গাড়ি, মোটরবাইক, মেশিন ও কাজের যন্ত্রপাতি সবকিছুর পুজো দেওয়া হয়। যেখানে পুজোর আনন্দটাই পরিবারকেন্দ্রিক। তেমন আনন্দের বহরও দেখা যায় না। তাই গ্রামের জনা ৩৫যুবক ঠিক করে সম্মিলিতভাবে সবার মোটরবাইক নিয়ে
এসে একসাথে পুজো করবেন। আজ বিশ্বকর্মা পুজো, হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পুজো করা হয়। আর সকলে মিলে সেই উদ্যোগ সফল করল। সবার মোটরবাইক ধর্ম্মপোতা অ্যাডভানস্ অ্যাকশান ক্লাব এর সামনে পাকা রাস্তার উপর লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে পুজো শুরু করে। সকাল থেকেই পুজোর তোড়জোড় শুরু হয়। পুজো হয়, প্রত্যেকে প্রতিমার সামনে অঞ্জলি দেয় এবং তারপর সারিবদ্ধ মোটর বাইকের পুজো শুরু হয়।
এই অভিনব বিশ্বকর্মা পুজো দ্বিতীয় বছরে পড়ল। প্রত্যেকের পরিবার থেকে এবং গ্রামের কিছু মানুষজনও আসে এখানে। সকলে মিলে পুজোর শেষে খাওয়াদাওয়া সহ সারাদিন ধরে হৈচৈ আনন্দ করে। এতে প্রত্যেক পরিবারের মানুষজনের সঙ্গে অন্য পরিবারের অন্যান্যদের এক মেলবন্ধনের যোগসূত্র গড়ে ওঠে। বিগত প্রায় দু’বছরের ভয়াবহ করোনাতে মানুষের মধ্যে অবসাদ গ্রাস করেছে, তার থেকেও খানিকটা মুক্তি ও আনন্দের জন্য বিশেষত এই উদ্যোগ।
পুজোর পরের দিন সকাল থেকে গ্রামের ছোটো-ছোটো ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সকল স্তরের মানুষদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। গত বছরের মতো এবারেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা ছিল।কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা অতিভারী বর্ষণের ফলে, ক্লাবের খেলার মাঠটি এখন বন্যার জলে থৈথৈ করছে। তায় অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।