তিনি নাড়াজোল রাজ পরিবারের সদস্য,পকেটে বেশ কয়েক একর জমি। টাকার মায়া ছেড়ে তিনি রাজ অট্টালিকা থেকে একেবারে আড়ালে নিরালায় বর্তমান জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন। ছোট্ট একটুকরো ভাঙাচুরো বাড়ি,বিদ্যুতের আলোটুকুও ছিল না,একবেলায় দুবেলার খোরাক,পুকুরের জলই প্রধান পানীয়,স্নানের সময় ঘন্টা খানেকের নিয়মিত সাঁতার,তুলসীপাতা,বওড়া,হরিতকী প্রধান পথ্য। বয়স ৭৮ ছাড়িয়েছে।
প্রায় ৪০ বছর ধরে নাড়াজোল রাজবাড়ি থেকে কিছুটা আড়ালে জঙ্গলের ঢিবির মধ্যে বসবাস করছেন। কয়েক বিঘা ১৫ ফুট উচ্চতার ঢিবি কেটে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে। এই বয়সেও রাতে লম্ফের আলোয় চলে জমি সমতল করার কাজ। গাছ প্রেমী এই মানুষটি কয়েক হাজার গাছ নিজের হাতেই লাগিয়েছেন। নাড়াজোল বাজারেই ছিল খান মেডিকেল। বলছি সেই খান মেডিকেল এর মালিক প্রফুল্ল খানের কথাই।