রবীন্দ্র কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ,ঘাটাল: নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক-ঠাক না থাকার জন্য বিগত [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]কয়েক বছর ধরে ঘাটাল পুরসভার একাংশের বাসিন্দাদের বর্ষার সময় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছিল। বিশেষ করে ১৩, ১৬ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাসিন্দাদের। পুরানো নিকাশি নালাগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দু-চার ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতেই বহু পরিবারের রুমের মধ্যে দু’ফুট পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। বহু রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছিল। শুধু তাই নয় ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বর, ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় চত্বরও জলে থৈথৈ করছিল। চলতি বছরেও এমনটাই আশঙ্কা করছেন কোন্নগর ও কুশপাতার বাসিন্দারা। হাইড্রেনের কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় এবারেও ভোগান্তির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে তাঁরা মনে করছেন।
বর্তমানে রাস্তা সম্প্রসারণের সাথে সাথে রাস্তার দু’দিকে কংক্রিটের হাইড্রেন তৈরিরও কাজ চলছে। কিন্তু ওই সমস্ত ওয়ার্ডগুলির ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা ওই হাইড্রেন পেয়ে খুশি। কিন্তু যে গতিতে হাইড্রেনের কাজ এগোচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে বর্ষার আগে ড্রেন তৈরির কাজ শেষ হবে না। কোন্নগরের বাসিন্দা পাপন ঘোষাল, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষ্ণা সামন্ত, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মলয় সামন্ত প্রমুখ বলেন, তাই এবারেও আমাদের বর্ষার সময় বেশ ভোগান্তি হবে।
ওই সমস্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলেন, পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে পুরসভা যদি এনিয়ে অনেক আগে থেকে যোগাযোগ করে ড্রেন তৈরির বিষয়ে গতি আনার ব্যবস্থা করত তাহলে এবার আর ভোগান্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকত না। যদিও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অজিতরঞ্জন দে বলেন, হাইড্রেনগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে তৈরি করার জন্য আমরা নিয়মিত পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আর বর্ষা আসতেও অনেক দেরি রয়েছে। তাই আমাদের বিশ্বাস এবার বর্ষার আগেই ড্রেন তৈরি হয়ে যাবে এবং নিকাশি ব্যবস্থার সমাধান হয়ে যাবে।