ঘাটাল শহরের নামকরা রেস্তোরাঁর রেড চালিয়ে বিষ্ময়কর চিত্র,বন্ধ হল রেস্তোরাঁ। ঘাটাল মহকুমা শাসক ও খ্যদ্য সুরক্ষা দপ্তরের তরফে মাস খানেক আগেই সাবধান করা হয়েছিল মহকুমার সমস্ত ছোটো বড় খাবারের দোকানগুলিকে,বাসি পচা খাবার না পরিবেশন করে খাবারের গুনগত মান ঠিক রাখতে। সাবধানতা স্বরূপ ঘাটালের একাধিক রেস্তোরাঁ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বাসি পচা খাবার।
কিন্তু মহকুমা শাসকের নাকের ডোগায় আশীর্বাদ ফ্যামিলি রেস্টুরেন্টে জমিয়ে চলছিল বাসি পচা খাবারের কারবার। একাধিক অভিযোগ জমা হয়েছিল মহকুমা শাসক ও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরে।
১১ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে ঘাটালের মহকুমার শাসক অসীম পাল ঘাটাল ফুড সেফটি অফিসার অরুণাভ দে’কে নিয়ে অভিযান চালান ঘাটাল টাউন হলের পিছনের আশীর্বাদ ফ্যামেলি রেস্টুরেন্টে। অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা যায় ওই রেস্টুরেন্টটিতে দীর্ঘ দিনের বাসি খাবার জমা রয়েছে। যেগুলির বেশির ভাগই পচে গিয়েছে। নানা ধরনের পোকা মাকড়ের মধ্যেই দেওয়ালের এক কোণে পড়ে রয়েছে সবার প্রিয় চাউমিনের নুডুলস। পনির চিকেন সব আঢাকা। যে গুলি আবার ঢাকা তাদের অপরিষ্কার ঢাকনা ও দুর্গন্ধ সহ্য করার মত নয়।
অথচ এই আশীর্বাদ রেস্টুরেন্টের খাবার জায়গায় আলো আঁধারীর মধ্যেই কী আনন্দে এই সব খাবারই হাতে গরম খাবার আপনি আপনার প্রিয় জনের সাথে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন। কিন্তু রেস্তোরাঁর এই অন্দরমহলের এমন হাল সে কথা নিশ্চই আপনারও জানা ছিল না।
ওই রাতেই মহকুমাশাসকের নির্দেশে রেস্তোরাঁর সমস্ত খাবার বাজেয়াপ্ত করে আপাতত রেস্তোরাঁটিকে ৭ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, ঘাটালের প্রত্যেকটি রেস্টুরেন্টেই ধারাবাহিক রেড করা হবে।
অভিযোগ থাকলে,দোকানের ও খাবারের ছবি সাথে দোকানের অবস্থান লিখে আপনার অভিযোগ বিস্তারিত লিখে পাঠিয়ে দিতে পারেন fsoghatal@gmail.com এই ইমেলে।
তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে মহকুমা প্রশাসন ওই রেস্টুরেন্টটিকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক দলের ‘দাদারা’ রেস্টুরেন্টটিকে খোলার জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছেন। এর পেছনে কী কারণ রয়েছে তা কারোরই কাছে স্পষ্ট নয়।
এখন দেখার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসন এগিয়ে এলেও রাজনীতির দাদাদের কাছে প্রশাসনকে মাথা নুইয়ে রেস্তোরাঁটিকে খুলে দিতে হয় কিনা।