মামার বাড়িতে চুরির ঘটনায় মূল পান্ডা ছিল ভাগ্নে। দাসপুর পুলিশের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আমরা সে খবরে আসবো কিন্তু তার আগে জানাই দাসপুর পুলিশের আরও এক সাফল্যের কথা। ১৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে দাসপুর বাজারে মাছ বাজারের কাছে যে রূপো দোকানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে যে ছিনতাই আসলে দোকানের কর্মচারীর পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক হয় সেই ছিনতাই হওয়া রূপো উদ্ধার করল দাসপুর পুলিশ।
দাসপুর পুলিশের তরফে ভার প্রাপ্ত অফিসার সুদীপ ঘোষাল ১৭ ডিসেম্বরই দাসপুরের ওই রুপো দোকান ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিনতাইকারীদের সনাক্ত করেছিলেন এবং রাতেই দোকানের কর্মচারী আমন জানা এবং সঙ্গী সুব্রত আদককে গ্রেপ্তার করেছিলেন। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ উদ্ধার করেছে ১২ কেজি রুপো।
অন্যদিকে এবছর ২০২০ সালে লক্ষ্মী পুজোর আগের রাতে দাসপুর থানার,জোতগৌরাঙ্গ গ্রামের অসিত মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসীর বড়ি চুরি হয়। বাড়ির সমস্ত সোনা,রূপোর পাশাপাশি বাড়িতে থাকা একটি মোবাইলও চুরি যায়। দাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দাসপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়,পুলিশ ওই চুরি যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে পৌঁছে যায় চোরের কাছে। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
অভিযুক্তকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ অসিতবাবুর। অসিতবাবু জানান তাঁর বাড়ি চুরির ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত অরুন প্রামাণিক নিজের ভাগ্না। পুলিশের তরফে জানানো হয় দাসপুরের রাধাকান্তপুরে অরুনের বাড়ি। ওই রাতে রাধাকান্তপুরের সুদীপ সিংহ এবং খুকুড়দহের সুভাষ দাস ওরফে নয়নকে নিয়ে ভাগ্না অরুন মামার বাড়িতে চুরি করে। ভাগ্নার জানা ছিল ওই রাতে বাড়িতে কেউ থাকবেনা,সবাই মেয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। দাসপুর পুলিশের তরফে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া প্রায় ৭০০ মিলি সোনা,রূপো এবং সেই মোবিলটিও।
শীতের পারদ যতই চড়ছে বাড়ছে দাসপুর থানা এলাকায় চুরির ঘটনা। তবে তারই সাথে পাল্লা দিচ্ছে দাসপুর পুলিশ,নিস্তার নেই অপরাধীদের,একে একে অপরাধীরা নাগালে আসছে দাসপুর পুলিশের।