নিজস্ব সংবাদদাতা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: চন্দ্রকোণা থানার বালাতে মহিলা খুনের ১৩ দিন পর মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হল চন্দ্রকোণায়। ধৃত যুবকের নাম সৌরভ বেহেরা। বাড়ি মেদিনীপুরে। সে চন্দ্রকোণা থানার বালাতে মামা বাড়িতে ভাড়া বাড়িতে থাকত। রবিবার রাতে তাকে ডেবরা থানার লোয়াদা থেকে আটক করে আনা হয়। লোয়াদাতে সৌরভের পিসি বাড়ি। ওই খুনের মামলায় আইও ছিলেন সুব্রত বিশ্বাস। তাঁরই দীর্ঘ ১২ দিনের প্রচেষ্টায় খুনিকে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৩০ আগস্ট চন্দ্রকোণা থানার বাঁদরখালিতে সাত সকালেই এক মহিলার রক্তাক্ত গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। চন্দ্রকোণা-মেদিনীপুর রাস্তার রাধানগর থেকে একটি গ্রামীণ মোরাম রাস্তা বালা গ্রামে উঠেছে। ওই খুব সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই মেঠো রাস্তার পাশেই একটি ধান জমিতে মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মহিলার বয়স ৩০-৩৫বছরের মধ্যে হতে পারে। গায়ের রঙ উজ্জ্বল ফর্সা। পরনে কুর্তি ও লেগিন্স। দুই হাতে শাখাঁ-পলা দেখে হিন্দু পরিবারের গৃহবধূ বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাঁর গলাটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটা ছিল।এখন জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার নাম শ্রীমতি বর্মন(৩০)। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে বাড়ি। বিধবা ওই মহিলার সঙ্গে সৌরভের ফেসবুকে প্রেম হয়। তারপর মন্দিরে বিয়ে। সৌরভ তার নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে ছেড়ে দিয়ে ওই মহিলাকে নিয়ে কিছুদিন থাকত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সৌরভ ২৯ আগস্ট রাতে শ্রীমতিকে খুন করে পালিয়ে যায়। তবে খুনটি তার একার পক্ষে করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ অনুমান করছে। ওই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে।