ইচ্ছে ছিল এবার অম্বুবাচীর তত্ত্ব মেয়ের বাড়িতে নিজেই গিয়ে দিয়ে আসবেন। সেই মত সকাল সকাল ভাই দেবব্রতর বাইকে চেপে দাসপুরে বড় মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন সীতাপুরের পূর্ণিমা আদক,সাথে নেন ছোটো মেয়ে অনুশ্রীকে।
দাসপুর থানার পলাশপাই দিয়ে গৌরা আসার পথে পলাশপাই জোড়া পুলের কাছে বাইক থেকে পড়ে সিমেন্ট বোঝাই এক লরির চাকায় পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান পূর্ণিমাদেবী।
মর্মান্তিক এই মৃত্যুর জন্য এলাকাবাসী দায়ী করেন ওই রাস্তায় ভারি মাল বোঝাই গাড়ির অবাধ যাতায়াত। তাই গাড়ির কাছ থেকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের দাবিতে প্রতিবাদে সকাল থেকে পলাশপাই জোড়া পুলের কাছে মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় ও মৃতের পরিবার।
দাসপুর পুলিসের তরফে মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে বাঁধে আরও বিপত্তি। ছবি ভিডিও তোলায়ও বাধা দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি মৃতের সন্তানের দেখভালের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং অবিলম্বে ওই রাস্তায় ভারী মালবাহী যানবাহনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে যেতে থাকে। অবস্থার সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেযান ঘাটালের এস ডি পি ও কল্যাণ সরকার। নামানো হয় র্যফ। এক সময় বিক্ষোভকারীরা ঘাতক গাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়।
Join our Whatsapp group
অবশেষে দাসপুর-২ বিডিও অনির্বান সাহু বিক্ষোভকারী, মৃতার পরিজন এবং পুলিশকে নিয়ে তাঁর অফিসে ডেকে পাঠান। বিডিও বলেন, সরকারি নিয়ম মতো মৃতের পরিবার যাতে সহযোগিতা পায় সেই বিষয়টি আমরা দেখব। বিকেল প্রায় ৪টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।
◑ক্যামেরায় সুকান্ত দাস ও শ্রীকান্ত ভুঁইঞা।