সুদীপ্ত শেঠ, দাসপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ছোট একটি গ্রাম বড়শিমুলিয়া৷ এই গ্রামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে স্বাধীনতার একটুকরো ইতিহাস৷ হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন যেই তরুণ তিনি ক্ষুদিরাম বসু৷ ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের মহুবনি গ্রামে তাঁর এই দিনে তাঁর জন্ম হয়৷ বৈপ্লবিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত হওয়ার পরে তৎকালিন ব্রিটিশ শক্তির কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন ক্ষুদিরাম৷ ওই সময় দাসপুর-১ ব্লকের শিমুলিয়া গ্রামে ডাক লুণ্ঠনের সাথে তাঁর নাম যুক্ত হয়৷ ১৯০৭ সালে অক্টবর মাসে হাটগেছিয়া গ্রামে মাসির বাড়ি আসেন ক্ষুদিরাম৷ ওই সময় ব্রিটিশ সরকারের ডাক দাসপুরের বড়শিমুলিয়া গ্রামের রাস্তার উপর দিয়ে পাড়ি দিতো জেলার বিভিন্ন প্রান্তে৷ ক্ষুদিরাম বসুর পরিকল্পনা মতো বড়শিমুলিয়া গ্রামের দীঘির পাড়ে নির্জন রাস্তায় ডাকলুন্ঠন করেন৷
১৯৪৬ সালে ক্ষুদিরামের স্মৃতিরক্ষার্থে তৈরি হয় একটি সোসাইটি৷ ৩ ডিসেম্বর ২০০০ সালে বড়শিমুলিয়া গ্রামে ঠিক ওই স্থানে দীঘির পাড়ে এক প্রকান্ড বটবৃক্ষের পাশে ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি স্মারক স্থাপন করা হয়৷ সেখানেই দাসপুরে মানুষ আজকের এই দিনটিতে বীর শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে শ্রদ্ধাজানাতে সমবেত হন৷ আজ থেকে আগামী দুই দিন শহীদ ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি রক্ষা সোসাইটি তরফে আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের৷ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতিচারণা, কবিতা, দেশাত্মবোধক গান সবই থাকছে অনুষ্ঠানের অঙ্গ হসেবে৷ এভাবেই ক্ষুদিরামের স্মৃতি আজও সযত্নে আঁকড়ে রেখেছে বড়শিমুলিয়া গ্রামের মানুষ৷