তৃপ্তি পাল কর্মকার, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: মন দিয়ে রান্না করছেন সহায়িকা। খাবার বিলি হবে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই। তাই শিশু প্রসূতিদের কলরবে সে সময় গমগম করছে চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের পুড়শুড়ি ৬৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
সহায়িকা কাকলি ঘোষ রান্না করবার সময় পিছনে লকলকে ফণা উঁচিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকাণ্ড এক গোখুরো। ছোবল তাক করেছে সহায়িকার মাথা লক্ষ্য করে। হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন খাবার আনতে আসা এক প্রসূতি, ‘দিদি উঠে আসুন, সাপ ফণা তুলেছে,। বাচ্চাদের কলরবে সে কথা শুনতেই পাননি ওই সহায়িকা।
শুনতে পেলেন ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী মমতাজ বেগম। কাকলিদেবীর মাথা তাক করে লকলকে ফণা উঁচিয়ে গোখুরো তখন তার নিশানা তাক করছে লক্ষস্থির রেখে।
জাস্ট ছোবল দেওয়ার মুহূর্তে কাকলিদেবীকে হিঁচটে টান মেরে সরিয়ে নিলেন মমতাজ বেগম। সাপের ছোবল এসে পড়ল কাকলিদেবীর শাড়িতে। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে ভয়ে আত্মারাম খাঁচাছাড়া খাবার আনতে আসা উপভোক্তাদের। ভয়ে অনেকেই দূরে সরে যান। সাপটি লোকজন দেখে রান্নার জ্বালানির মধ্যে আশ্রয় নেয়। ঘাটাল মহকুমা বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী টিমের সদস্য মলয় ঘোষ সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।