নিজস্ব প্রতিনিধি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: পরিশ্রমের প্রাপ্য চাইতে গিয়ে মালিক পক্ষে তরফে আদিবাসী মহিলার মাথায় কোদালের আঘাত। [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] আশঙ্কাজনক অবস্থাতে আদিবাসী ওই মহিলা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। দাসপুর থানার মাছগেড়িয়ার এই ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দাসপুর থানার পুলিশ মূল দুই অভিযুক্তদের মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম সুভাষ মাইতি বাড়ি দাসপুর থানারই মাছগেড়িয়াতে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ বেলা প্রায় সাড়ে ১১ টা নাগাদ মাছগেড়িয়া গ্রামেরই সুভাষ মাইতির বাড়িতে যায় চম্পা সিং নামে বছর ৪৫ এর এক আদিবাসী মহিলা। চম্পাদেবীর দাবি ছিল দীর্ঘদিন ধরে ওই মাইতি পরিবারে তিনি কাজ করেছেন, কিন্তু প্রাপ্য যে চাল এবং টাকা তা দেওয়া হচ্ছিল না। সেই প্রাপ্য আদায়ে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ পরিশ্রমের পারিশ্রমিক চাইতেই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। আরও অভিযোগ কথা কাটাকাটির মাঝেই বাবা সুভাষ মাইতি এবং ছেলে শুভ মাইতি ওই মহিলার ওপর কোদালের বাড়ি মারতে থাকে। তারপরেই আঘাত করা হয় ওই মহিলার মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থাতে ওই মাইতি পাড়ায় লুটিয়ে পড়েন চম্পা সিং। পরে পাড়া-প্রতিবেশীরা মিলে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে দাসপুর হাসপাতাল আর তারপরেই ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। চম্পাদেবীর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় সিং এর দাবি অনেক বছর ধরেই কাজ করিয়ে তাদের প্রাপ্য টাকা বা চাল দেয়নি সুভাষ মাইতি ও তার ছেলে শুভ মাইতি। তবে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সুভাষ মাইতিকে গ্রেপ্তার করে দাসপুর থানার পুলিশ। তবে শুভ মাইতি এখনও পলাতক। অন্যদিকে পুলিশি তৎপরতার মাঝেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মাছগেড়িয়ায় জমায়েত করে। আদিবাসীদের হাতে দেখা যায় তীর ধনুকসহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্রও। তাদের দাবি দ্রুত ওই শুভ মাইতিকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।