তৃপ্তি পাল কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: দাসপুর পুলিশের তৎপরতায় অপহৃত গৃহবধূ সহ ধৃত যুবককে উদ্ধার করল দাসপুর থানার পুলিশ। ১৩ আগস্ট শুক্রবার মাঝরাতে দাসপুর থানার এসআই তথা কেসের তদন্তকারী অফিসার রাজকুমার দাস পুলিশবাহিনী নিয়ে কলকাতার হরিদেবপুর থানা এলাকা থেকে ‘অপহরণকারী’ ওই যুবকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তিন বছরের সন্তান সহ গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। ধৃত ওই যুবকের নাম পঞ্চানন্দ দাস, বয়স ২৭ বছর। বাড়ি দাসপুর থানার গোবিন্দপুরে। অপহৃত গৃহবধূর বয়স ২১ বছর, তাঁর বাড়িও একই এলাকায়। গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক, রয়েছে তিন বছরের সন্তান।
১আগস্ট পঞ্চানন্দ ওই গৃহবধূকে ফুসলিয়ে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। ঘটনা জানাজানি হতেই গৃহবধূর বাবা দাসপুর থানার ছেলের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নিয়ে নিয়ে গিয়েছে পঞ্চানন্দ। ওই কেসে রাজকুমারবাবুকে তদন্তকারী অফিসার করা হয়। তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজকুমারবাবু বিভিন্ন ভাবে তদন্তের জাল বিছাতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে মোবাইলও
ট্রাক করা হয়। রাজকুমারবাবু বলেন, বেশ কিছুদিন তদন্তের পর আমরা সুনিশ্চিত হই পঞ্চানন্দ ওই গৃহবধূকে নিয়ে হরিদেবপুর থানা এলাকাতে রয়েছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করতে ১৩ আগস্ট শুক্রবার সকালেই ওই এলাকায় পৌঁছাই। সারাদিন তল্লাশি চালিয়ে মাঝরাতে হরিদেবপুর থানার রামচন্দ্রপুর থেকে যুবকটিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওরা সেখানে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। সেই সঙ্গে তিন বছরের একটি শিশুসহ ওই গৃহবধূকেও উদ্ধার করা হয়।
ভোর ৪টায় রাজকুমারবাবু তিন জনকে নিয়ে দাসপুর থানায় পৌঁছান। শনিবার ওই যুবককে ঘাটাল আদালতে তোলা হলে আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যদিও ঘটনা সম্বন্ধে সরবেড়িয়া-১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দাদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, ওই গৃহবধূকে আগেও ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করতে দেখা গেছে। স্থানীয়রা এটিকে পরকীয়া প্রেমের ঘটনা বলেই দাবি করছেন।
ঘটনা যাইহোক, রাজকুমারবাবু যে দক্ষতা সঙ্গে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সেটা দেখে অভিভূত ঘাটাল মহকুমার মানুষ। রাজকুমারবাবুকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সমাজের সচেতন মানুষেরা।