কুণাল সিংহরায়: ঘাটাল বিধানসভার দলীয় প্রার্থী শীতল কপাটের সমর্থনে ঘাটালের বীরসিংহ মোড় (সিংহডাঙ্গা) থেকে জলসরা পর্যন্ত প্রায় দুকিমি রাস্তায় রোডশো করলেন দিলীপ ঘোষ। আজ ১৫ মার্চ বিকেলে হুডখোলা মারুতি জিপসিতে তার সঙ্গী ছিলেন শীতল কপাট ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে। শো শেষে জলসরাতে এক সভায় তিনি শুরুতে সিপিএমের অপশাসনের উল্লেখ করে বলেন, নেতাদের সম্মতি বাড়িতে কী রান্না হবে, ছেলে-মেয়েদের কার সাথে বিয়ে হবে, সেই বিয়ে কতদিন টিকবে সেটাও নেতারা ঠিক করে দিতেন। তারপরে মঞ্চে এলেন নীল সাদা শাড়ি,চটিপরা দিদি। কী পরিবর্তন হল? না সাইকেলের মাডগার্ড ভাঙার জন্য যে নেতাকে সাইকেলের বেল দিতে হত না তিনি এখন বাইকে চেপে সবাইকে চমকে দিয়ে মা মাটি মানুষের কথা বলেন। যিনি বাইকে ঘুরতেন তিনি চড়ছেন স্করপিও। বর্তমানে গ্রামেগঞ্জে তিনতলা বাড়ি দেখলে নিশ্চিন্তে বলে দেওয়া যায় তৃণমুল নেতার বাড়ি।উন্নয়ন হয়েছে নেতাদের, ভাইপোর।দিদি হয়ে গেছেন পিসি,এখন নাকি ঠাকুমা।মুসলিম মৌলবিদের দের ভাতা ৩ হাজার আর হিন্দু পুরোহিতদের ১ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন হিন্দুরা ভিখারি নাকি? মা-বোনেদের সন্ধ্যার পর বাইরে বেরোনো এখন দুশ্চিন্তার বিষয়। ধর্ষণের সাজা হয় না এখানে। অন্যান্য রাজ্যে ছমাস একবছরে বিচার হয়,সাজা হয়, ফাঁসি হয়। এখানে আজ পর্যন্ত একটি সাজার ঘটনা ঘটেনি। কারণ সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় কালীঘাট থেকে।১০ বছর আগে যে ছেলেটি গ্র্যাজুয়েট হয়েছিল সে আজ বুড়ো, চাকরি না পেয়ে বিয়ে করতে চায় না তাই মেয়েরাও বুড়ি হচ্ছে বাড়িতে বসে বসে। আমরা ক্ষমতা এলেই প্রতিটি পরীক্ষার ব্যাবস্থা করা হবে। •ভিডিও
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উল্লেখ করে বলেন এখানে ভর্তি হলে বেঁচে ফেরা কঠিন। দিদির রাজত্বে বাংলা সন্ত্রাসবাদীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ঘাটাল থেকে মেচোগ্রাম পর্যন্ত রাস্তার সমালোচনা করে বলেন এই রাস্তায় যমও আসতে ভয় পাবে। আমি তো আসি এত খারাপ রাস্তা কোথাও দেখিনি।
দিদির পা ভাঙা বড় নাটক বলে তিনি মন্তব্য করেন। দিলীপবাবু বলেন, কোথাও কারো পাভাঙ্গার দুদিন বাদে প্লাস্টার কেটে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বাঁধার ঘটনা ঘটেনি। বাংলার মেয়ে প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেন, তাহলে দিদি কি এতদিন ছেলে ছিলেন? মোদিজির কথা তুলে সাংসদ বলেন, তিনি ঘরে ঘরে বিনা পয়সায় গ্যাস দিয়েছেন, রেশনে চালডাল দিয়েছেন করোনার লকডাউন চলাকালে আর দিদি তাঁকে কিনা বলছেন কখনো রাবণ কখনো হোঁদলকুতকুত। আপনারা বাংলার কথা ভেবে এবার ভোটটা দিন। কারণ রাজ্যে -কেন্দ্রে একই সরকার চায় কারন ডবল ইঞ্জিনের গতিতে বাংলার উন্নতি চায়।
👆 আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলটি লাইক করুন