সুইটি রায়: ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারীর(দেব) সহায়তায় ল্যাপটপ পেলেন দুই আদিবাসী বোন। ১০ সেপ্টেম্বর ঘাটাল মহকুমাশাসকের অফিস থেকে মহকুমাশাসক অসীম পাল দুই বোন রিনা নায়েক ও বীণা নায়েকের হাতে ৩২ হাজার টাকা মূল্যের এই ল্যাপটপটি তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্নাও। রামপদবাবু বলেন কিছুদিন আগে মহকুমাশাসক ওই দুই বোনের পড়াশোনার সুবিধার জন্য সাংসদের কাছে ওদের জন্য একটি ল্যাপটপের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি আরও বলেন মহকুমাশাসক অসীমবাবুর অনুরোধেই দাদা(দেব) দুই ছাত্রীর জন্য এই ব্যবস্থা করেছেন। রিনা ও বীণার বাড়ি ঘাটাল ব্লকের পান্না গ্রামে। দিনমজুর পরিবারের সন্তান হয়েও, পড়াশোনার অদম্য ইচ্ছে দেখে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ২২ জুন মহকুমাশাসক নিজের বেতনের টাকা থেকে তাঁদের ২৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। মহকুমাশাসক বলেন, করোনার সময় বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ দিতে যাওয়ার সূত্রে এই দুই ছাত্রীর বিষয়টি নজরে আসে সাংসদের। তখন আমার দপ্তর থেকে ওই দুই বোনকে কিছু সাহায্যও করা হয়েছিল। একটি ল্যাপটপ পেলে ওই দুই বোনের পড়াশোনার সুবিধা হবে একথা জানাতেই উনি তখনই কথা দিয়েছিলেন যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনি সে ব্যবস্থা করবেন। ওদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ও উদ্যমের পাশে সাংসদ দেব দাঁড়িয়েছেন দেখে আমার খুবই ভালো লাগছে। বর্তমানে রিনা মহকুমাশাসকের অফিসের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল পরিচালিত টিনটিনস ক্লাসেস নামক ফ্রি কোচিংএ ডাব্লু বি সি এস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ল্যাপটপটি পেয়ে তারা খুবই খুশি। এ প্রসঙ্গে রিনা বলেন, মহকুমা শাসক, সাংসদ দেব, সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্নাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ওনারা আমার পাশে আছেন বলেই আমি এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি। বর্তমানের ইন্টারনেট নির্ভর সময়ে এই ল্যাপটপটি আমার পড়াশোনাতে অনেক সাহায্য করবে। সে আরও বলে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুনবাবুকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ উনি আমাকে আমার স্বপ্নের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে দিচ্ছেন।
এছাড়াও সম্প্রতি ঘাটাল পৌরসভার অর্ঘ্য ঘোষ নামের এক ছাত্রও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য সাংসদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থসাহায্য পেয়েছে বলে জানা গেছে।
দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহযোগিতা পাননি, এমন ঘটনা বিরল। ঘাটালের প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, এর আগে এই এলাকা থেকে নির্বাচিত কোনও সাংসদের এতো মানবিক মুখ দেখা যায়নি। দেব ২০১৪সালে যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমেছিলেন তখন মনে হয়েছিল ভোট ফুরালে দেবের আর দেখা মিলবে না। কিন্তু ঘাটাল লোকসভা এলাকায় সাংসদ হিসেবে দেবই সব চাইতে বেশি বার এসেছেন। •এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।