কিশোরীর শ্লীলতাহানি আর তার জেরেই কিশোরীর আত্মহত্যা চাই দোষীর উপযুক্ত শাস্তি এই দাবিতেই রবিবার প্রায় সাড়ে ১২ থেকে দাসপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করলেন মৃত কিশোরীর পরিবার ও গ্রাম।
উল্লেখ্য মায়ের সঙ্গে জ্বালানী কুড়োতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয় দাসপুর থানার বিষ্ণুপুর গ্রামের কিশোরী সুপ্রিয়া পোড়ে(১৫)। সেই লজ্জাতেই সে আত্মহত্যার পথ বেছেনেয় ওই কিশোরী এমনই দাবি ছিলে কিশোরীর পরিবারের।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে শুক্রবার সুপ্রিয়া পোড়ে তার মায়ের সঙ্গে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিলে মায়ের আড়ালে ভুতা গ্রামের ৩২ বছর বয়সী শেখ সহিদুল নামে এক যুবক ওই কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে। থানায় অভিযোগ না করে, কিশোরীর বাড়িতে শনিবার বিকেলে একটি গোপনে সালিশিসভা হয়।
কিশোরী চেয়েছিল, থানায় অভিযোগ করে ওই যুবকের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যারা সালিশি সভার নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা সুপ্রিয়ার দাবিটিকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। তাই সালিশি সভার পরই ওই কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শনিবার রাতেই পুলিশ সহিদুলকে থানায় তুলে নিয়ে আসে। গ্রামবাসীদের দাবি ওই অভিযুক্তকে কোনোভাবে আর ছাড়া যাবে না।
আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা ও শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্তের ফাঁসি চাইছে গ্রামবাসী। দাসপুর পুলিস জানায়,আইন আইনের পথেই যাবে। অভিযুক্তকে তাঁরা তুলে এনেছেন নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়েরের ভিত্তিতে পুলিশ তার কাজ করবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে শাস্তি দেবে মহামান্য আদালত।