মনসারাম কর: দেশ-বিদেশ ও রাজ্য জুড়ে এই মুহূর্তে একটা ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । চারিদিকে একটাই কথা ‘করোনা’ । চা দোকান থেকে শুরু করে বাজার-হাট, আফিস-আদালত সমস্ত জায়গাতেই আলোচনার বিষয় করোনা ভাইরাস।সতর্ক থাকতে ও সংক্রমন এড়াতে স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশমত বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল, কলেজ, পার্ক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, পর্যটন কেন্দ্র, শপিংমল, সিনেমাহল, অষ্টমপ্রহর, অনুষ্ঠান বাড়ি। যে কোনও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরকম একটা পরিস্থিতিতে রীতিমতো আশঙ্কায় ভুগছেন সরকারি অফিসের কর্মীরা ও ব্যাঙ্ক কর্মীরা। কারণ পরিষেবা পেতে সরকারি অফিস ও ব্যাঙ্কে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ আসেন। কে কোথা থেকে এসেছেন, আগে কোথায় ছিলেন, রাজ্য বা দেশের বাইরে ছিল কিনা সেই বিষয়ে সরকারি কর্মীদের কিছুই জানা নেই। অফিসে এলে সরকারি পরিষেবা দিতে সবার সাথে কথাবলা এবং কগজপত্র বিনিময় করতেই হচ্ছে কর্মীদের। আশঙ্কাটা ঠিক এই জায়গাতেই। তথ্য অনুযায়ী দেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। বাইরে থেকে কয়েকহাজার মানুষ সম্প্রতি এরাজ্যে এসেছে। তাদেরও সরকারি অফিস বা ব্যাঙ্কে নানন কাজ থাকে। কিন্তু আদৌ কি রোয়েছে কর্মীদের ন্যূনতম সুরক্ষা? একদিকে যেমন বাজারে মাস্ক বা হ্যান্ড-স্যানিটাইজার অমিল, তেমনই এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবেও কর্মীদের জন্য সুরক্ষা মূলক তেমন কিছুই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।কর্মী মহলের দাবি অফিসে কাজ করার সময় সরকারিভাবে এমন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক যাতে করে দৌনন্দিন অফিসে বসে সংক্রম এড়িয়ে সতর্কতার সাথে কাজ্ করা যায়। ১৮ মার্চ বুধবার দাসপুর-২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অফিসের এক অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পার্থসারথী বেরা নামে সোনাখালির এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। জানা গেছে ওই অ্ধ্যাপককে একটু দূর থেকে কথা বলতে বলেছিলেন ভূমি ওভূমি সংস্কার আধিকারিক। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী সরকারি অফিসার তো ঠিকই বলেছেন।প্রসঙ্গত ওই সরকারি অফিসারের নেজেই একটু অসুস্থ ছিলেন। এই পরিস্থিতে পরস্পর দূর থেকে কথা বলাটাই সঠিক বলে মনে করছেন কর্মচারীমহল। আধ্যাপকের আচারণে বেজায় ক্ষুব্ধ কর্মীরা। কারণ করোনা আতঙ্ক তো অফিসের কর্মীদেরও রয়েছে। ওই আধ্যাপকের জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করার দাবি তুলেছেন সংশ্লিষ্টমহল। বুধবারই দাসপুর থানায় অধ্যাপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দাসপুর থানার পুলিশ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। কিন্তু দিনের পর দিন কিভাবে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই সরকারি কর্মচারীরা অফিসে আসা সকলের পরিষেবা দেবে সেই নিয়ে ভয় আর আতঙ্কে রয়েছে কর্মীমহলে।