অসীম বেরা,ঘাটাল: কে বলে ফেসবুক শুধু ঠকায়,কাছের সম্পর্কে ফাটল ধরায়? বন্ধুত্বে আনে দূরত্ব! তবে ফেসবুকের দৌলতে এ এক অন্য বন্ধুত্বের নজির হল ঘাটালে। একেই বলে বন্ধুত্ব, চার বছর ধরে বন্ধুত্ব, তারপরে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে পশ্চিমবাংলার মেদিনীপুর জেলায় চন্দ্রকোনা টাউন এ পাড়ি । কোথায় চন্দ্রকোনা থানার গোঁসাইবাজার কোথায় থাইল্যান্ডের গ্রাম ওয়াংওয়াং, কয়েক হাজার মাইল পথ। আর এই কয়েক হাজার মাইল পথ পেরিয়ে বান্ধবীর সাথে দেখা করতে থাইল্যান্ড থেকে আসলেন দুই বান্ধবী।
এরা কেউ কারো কথা বোঝেনা, কেউ কারো ভাষা জানেন না, তাই সবই চলছে আকার ইঙ্গিতে, একমাত্র পথ মোবাইল অ্যাপ।মজার বিষয় একটাই দুই বান্ধবী যখন তাদের ভাষায় কথা বলছেন, আর তখন তাদের বান্ধবী ও তার স্বামী কথা বলছে বাংলা ভাষায়।আর এই ভাষা সমস্যাকে সমস্যা বলে মানতে চাচ্ছে না তারা, কারণ ভাষা বুঝি না তো কি হয়েছে একে অপরের অন্তরের কথাটাতো বুঝতে পেরেছে। আর ওই দুই থাইল্যান্ড বাসীকে দেখতে মাঝেমধ্যে ভিড় জমাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। জানাযায় চন্দ্রকোনা বাসিন্দা ক্ষুদ্র মোবাইল মেকানিক মানিক অধিকারী স্ত্রীর দেবজানী অধিকারী সাথে থাইল্যান্ডের লখনসাওয়ন জেলার ওয়াংওয়াং এর বাসিন্দা, প্রনম পিমুব (৪৫) ও সুচুচিপ কৃটস্নাপ্যাক্সডি(৪০) তাদের যোগাযোগ হয়। ফেসবুক, তার পর ম্যাসেঞ্জার চ্যাটিং তারপরে বন্ধুত্ব।তার পর থাইল্যান্ড থেকে দুই বান্ধবী তারা জানায় তারা আসতে চায় ভারতবর্ষে, দেখতে চায় ভারত বর্ষকে এবং ভারত থেকে থাইল্যান্ড এ যাবার জন্য জোরপূর্বক আমন্ত্রণ জানায় মানিক অধিকারী ও তার স্ত্রীকে। তারপরে চন্দ্রকোনায় আশা।
মানিক বাবুর বলেন” আর্থিক সচ্ছলতা ভালো না হওয়ার জন্য থাইল্যান্ডে যাবার জন্য খরচা বহন করতে না পারায়। ওরা যাওয়ার ব্যাবস্থা করে, তাই কয়েক মাস আগে পাড়ি দিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে বন্ধুদের বাড়িতে। সমস্ত খরচা বহন করেছিল অজানা-অচেনা থাইল্যান্ডের বান্ধবীরা।কিন্তু বাদসাদে ভিসা, মানিকবাবু যেতে পারলেও কোন কারণে তার স্ত্রীর দেবযানী যেতে পারেনী কারণ ভিসা বাতিল হয়ে যায়।তাই দেবযানী কে দেখার জন্য থাইল্যান্ডের বান্ধবী , দ্রুত বান্ধবীর বাড়ি চন্দ্রকোনাতে আসে। আর দুই বান্ধবীকে পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত অধিকারী পরিবার। আর থাইলথাইল্যান্ড বাসিন্দাদের দেখতে ভিড় জমায় অনেক স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই বান্ধবী চন্দ্রকোনা শহর ঘোরাঘুরি দেখানোয় অধিকারী দম্পতি, পরে দুই বিদেশিনী বান্ধবী তাদের ভাষায় বলেন” এখানের পরিবেশ খুবই ভালো মনোরম কিন্তু এখানে নোংরা আবর্জনা যত্রতত্র পড়ে থাকে। ভারত আমাদের মন জয় করেছে। আর এই বন্ধুত্ব কে সাধুবাদ জানিয়ে চন্দ্রকোনার বিশিষ্ট আইনজীবী সমীর কুমার ঘোষ বলেন একেই বলে বন্ধুত্ব, দুই বিদেশিনী কে দেখে আমারো খুব ভালো লাগল।