টানা প্রায় ৮ঘন্টা ম্যারাথন জেরা, অবশেষে সন্ধ্যে ৬টার পর ভারতী ঘোষের দাসপুরের ভাড়া বাড়ি ছাড়ল সি আই ডি। বাড়ি ছেড়ে গাড়িতে যাওয়ার পথে বিজেপি সমর্থকদের বিক্ষোভ স্লোগানের মুখে পড়েন সি আই ডির ১৬ সদস্যের ওই দল। ভারতী দেবী তাঁর সমর্থকদের শান্ত করে নিজে গাড়ি পর্যন্ত ছেড়ে আসেন সি আই ডি কর্তাদের। ভারতী ঘোষ সাংবাদিকদেরকে দেওয়া সাক্ষাতকারে স্পষ্ট জানান ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির বাড় বাড়ন্ত ঠেকাতেই রাজ্য প্রশাসনের এই বিশেষ ক্ষমতা প্রদর্শন। এর জেরে রাজ্য সরকার তাঁর নির্বাচনী প্রচার ব্যাহত করতে চাইছেন।
প্রসঙ্গত ভারতী ঘোষের পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার , সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ১৬ই এপ্রিল শীর্ষ আদালত জানায় ভারতী ঘোষকে জেরা করতে পারে রাজ্য। এদিনের রায়ে স্পষ্ট জানানো হয় জেরায় সবরকম সহযোগিতা করতে হবে ভারতী ঘোষকে, সহযোগিতা না করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।শুক্রবার ১৯ শে এপ্রিল সকালেই দাসপুর থানার কোল্মীজোড় লাগোয়া চাউকৃষ্ণবাটির রাজকুমার মণ্ডলের বাড়িতে বর্তমান ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন পুলিস সুপার ভারতী ঘোষকে জেরার উদ্দেশ্যে আসেন সি আই ডির একটি বিশেষ দল। প্রসঙ্গত এই রাজকুমার মণ্ডলের বাড়িতেই থেকেই ভারতী ঘোষ তাঁর লোকসভা এলাকার প্রচার সারছেন।
প্রায় ১৬ সদস্যের সি আই ডির ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন সি আই ডির স্পেশাল সুপারিন্টেনডেন্ট ইন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী। সকাল ১০টা ২১ থেকে চলতে থাকে জেরা। দুপুর ২টা নাগাদ বেরিয়ে আসেন সি আই ডি কর্তারা। আবার ৩টা থেকে ভারতী ঘোষকে জেরা করতে থাকেন সি আই ডির ওই বিশেষ টিম। সন্ধ্যা ৬টার পর সি আই দি কর্তারা বেরিয়ে এলে বিজেপি সমর্থকরা সি আইডি কর্তাদের দেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। জেরা শেষে আমাদের সংবাদ মাধ্যমকে ভারতী ঘোষ কি বললেন আসুন শুনে নিই।