পরকীয়ার ‘শাস্তি’ হিসেবে পাড়ার বৌদির সঙ্গে দেওরের বিয়ের ব্যবস্থা করল ঘাটাল থানার মনসুকা ধসাচাঁদপুরের ‘গণ-আদালত’। অভিযোগ, ওই বৌদি ও দেওরকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখার পরই ‘গণ-আদালত’ ওই সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে তাঁদের দড়িতে করে একটি গাছে বেঁধে রাখা হয়। তারপরই জোর পূর্বক মালা বদল করিয়ে বিয়েও দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত গৃহবধূ এবং যুবকের দুজনেরই বাড়ি গ্রামের পাঁজা পাড়ায়। দুই পরিবারের মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে। গৃহবধূর একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী কর্মসূত্রে সোনার কাজে বাইরে থাকেন। যুবকটিও অন্য রাজ্যে সোনার কাজ করেন। সম্প্রতি তিনি বাড়ি এসেছেন। অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যায় নাকি তাঁদের দুজনকে খুবই অন্তরঙ্গ অবস্থায় প্রতিবেশীরা দেখে ফেলেন। তাদেরকে ধরে গাছে বেঁধে রেখে প্রথমে মারধর করা হয়। তার পরই পাড়ায় ‘গণ আদালত’ বসে। সেখানে অভিযুক্ত দুজনের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত মতোই কাজ শুরু। রীতি মতো মানসিক চাপ দিয়ে মালা বদল করিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়।
ওই দুই পরিবার থেকে এটিকে চক্রান্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ, গ্রামের বাসিন্দারা পারিবারিক রোষ থেকেই ১৬ জুলাই রাতের ঘটনাটি সাজিয়েছিলেন। পুলিশের কাছেও নাকি ওই হেনস্তার খবর ছিল কিন্তু পুলিশ তাঁদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেনি বলে দুই পরিবার সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ঘটনার পরই গৃহবধূ এবং যুবক মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানা গিয়েছে।
যদিও গ্রামের ‘বিচারক’রা বলেন, গৃহবধূ এবং যুবকের পরকীয়ার বিষয়টি গ্রামের মধ্যে এতটাই দৃষ্টি কটূ হয়ে গিয়েছিল যার ফলে এলাকায় সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। যুবকের মোবাইল থেকেও গৃহবধূর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি পাওয়া গিয়েছে। তাই এক্ষেত্রে যদি দৃষ্টান্তমূলক কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া যায় তাহলে সমাজে এর কুপ্রভাব পড়বে।