বর্তমান সময়ে দাপিয়ে চলছে অন-লাইন মার্কেটিং৷ আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করতে নেট দুনিয়ায় জালবিস্তার করছে ফেক ওয়েবসাইট৷ কখনও লোভনীয় অফার দিয়ে আবার কখনও ফ্রি গিফ্টের নাম করে একাউন্ট নাম্বার হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে হ্যকাররা৷ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ব্যবহার করা হচ্ছে নামি সংস্থার নাম ও ঠিকানা৷ এমন ভাবেই সর্বশান্ত হওয়ার ভুরিভুরি অভিযোগ উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে৷ সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, দিন দিন কৌশল বদল করে চলেছে হ্যকাররা৷ ভুঁইফোড় সংস্থার খুলে টাকা রোজকারের প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে মানুষকে৷
সোশ্যাল সাইডে বিজ্ঞাপন দিয়ে কোম্পানীর সাথে যুক্ত হওয়ার সুজোগ দিচ্ছে এক একটি সংস্থা৷ নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে ৫০০টাকা থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত জমা করতে বলছেন৷ দেওয়া হচ্ছে কোম্পানির সদস্যপদ সাথে গিফ্টকার্ড৷ একজন ব্যক্তি ভিন্নভিন্ন নাম ব্যবহার করেও নিতে পারছেন একাধিক সদস্যপদ৷ সদস্য হয়ে পন্য কেনাকাটা করলে কখনো সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব, কখনো সাইডে দেওয়া বিঞ্জাপনে ক্লিক করলে বা শুধুমাত্র কোম্পানীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করলেই পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের টাকা এমনি দাবি সংস্থাগুলির৷ সেই টাকা সপ্তাহের শেষে বা মাসে মাসে সরাসরি ডুকবে যাবে ব্যাঙ্ক একাউন্ট বা ই-ওয়ালেটে পাঠিয়ে দেওয়ার হবে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে৷ সেই আশায় মানুষ বেহুস হয়ে বন্ধু-বান্ধব ও নিকট আত্মীয়দের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন কোম্পানির ওই লোভনীয় প্রস্তাব৷ তবে পণ্য কেনাবেচার বা ই-বুকিং সাইট হলেও এই ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলি কেন এতো উদাসীন? বিভিন্ন মহলে সেখানেই উঠছে প্রশ্ন! কেনা বেচার থেকে তাঁরা ধের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে চেন মার্কেটিং বা বাইনারী মারকেটিংয়ে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিতে৷
কম্পুটার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সকল ক্ষেত্রে সংস্থার রেজিস্টেশান খতিয়ে দেখে যুক্ত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে৷ টাকা নেওয়ার বৈধ রসিদ ও চুক্তিপত্র ছাড়া প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে যুক্ত হলে থাকতে পারে বিপদের সম্ভাবনা৷ কারণ দোকান খুলতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স লাগলেও ওয়েব পোর্টালখুলতে লাগে না ট্রেড লাইসেন্স৷ কোম্পানির সাইটে দেওয়া তথ্য ভুল কী না তা যেমন বোঝার উপাই নেই, তেমন হটাৎ করে সাইট বন্ধ হলে যে কোনদিন মানুষ হতে পারেন সর্বশান্ত৷