তৃপ্তি পাল কর্মকার: পঞ্চাশ বছর ধরে প্রতিমা তৈরি করে দিন গুজরান করছেন আশির কোটার কিশোরীমোহন সাঁতরা। বাড়ি দাসপুর-২ ব্লকের ইসবপুর গ্রামে। ছেলে, স্ত্রী সহ নিজেও ভুগছেন নানান রোগব্যাধিতে। এক নাতনী এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অন্য এক নাতনী অটিজম আক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বড় হচ্ছে। অর্থাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থাও সেভাবে করতে পারেনি পরিবারটি। তাই পরিবারের সবাই মিলে প্রতিমা তৈরিতে হাত লাগায়। এমনকী অটিজম আক্রান্ত বাচ্চাটিও সাহায্য করে।
জমিজমা সেভাবে নেই, প্রতিমা তৈরিতেও সেভাবে লাভ কিছু নেই। সরকারি কোনও সাহায্যও আজ পর্যন্ত পাননি বলে জানান কিশোরীবাবু। কিশোরীবাবুর প্রতিবেশী অপর্ণা অধিকারি বলেন সরকারি কোনও শিল্পীভাতা পেলে পরিবারটি খুব উপকৃত হত। দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইঞা বলেন, কিশোরীবাবুর কথা জানতাম না। বিষয়টি নিয়ে ভেবে দেখব।