নিজস্ব সংবাদদাতা: শীতলা মূর্তির চোখে জল! শীতলা মূর্তির চোখ দিয়ে জল পড়া দেখতে প্রচুর উৎসাহী জনতা ভিড় জমালো দাসপুর -২ ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামে। ২ রা জুন সন্ধ্যেতে এমনই এক অলৌকিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
এদিন ওই গ্রামে কালীপুজো ছিল। সন্ধ্যেবেলায় পুজো দেখতে তখন দর্শনার্থীরা ভিড় জমাচ্ছেন। হঠাৎ রব ওঠে কালীমন্দির সংলগ্ন শীতলা মন্দিরে শীতলা সহ তিনটি মূর্তির চোখ দিয়ে জল পড়ছে।
খবরটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম ছাড়িয়ে গ্রামান্তরে। মুহুর্তের মধ্যেই মন্দির চত্বর ভরে ওঠে আবালবৃদ্ধবনিতা র ভিড়ে। সবাই একটু দেখতে চায় শীতলা মাতা কিভাবে কাঁদছে। মন্দিরের তালা ঝোলানো গ্রিলের বাইরে থেকে তখন অনেকেই পয়সা ছুড়ে প্রণাম করছে। ভিড়ের মধ্যে থেকে অনেকে বলাবলি করছেন কালী মাতার সঙ্গে শীতলা মাতার পুজো হচ্ছে না বলেই দুঃখে শীতলা মা কাঁদছে। শেষমেশ পুরোহিত ডেকে মূর্তিগুলোর সামনে গিয়ে কয়েকজন ভালো করে নিরীক্ষণ করে দেখেন ওটা চোখের জল নয়, পেতলের মূর্তিতে আলোর প্রতিফলনে চকচক করায় দূর থেকে মনে হচ্ছিল চোখ দিয়ে জল পড়ছে।
প্রসঙ্গত, ওই গ্রামে বিগত প্রতি বছর কালী পুজো এবং শীতলা পুজো একসঙ্গে হয়ে আসছে। এবছর থেকে পুজো দুটি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে শুরু হয়েছে। ওই পুজো কমিটির কর্মকর্তা অশোক কর্মকার, গোবিন্দ রানা, অরুণ কর্মকার, দিলীপ কর্মকার বলেন, দুটো পুজো একসঙ্গে পরিচালনা করতে তিথিগত ব্যাপারে সমস্যা হওয়ায় আমরা সর্বসম্মতিক্রমে ঠিক করি পুজো দুটি আলাদা আলাদা করব। এবং সেভাবেই পুজো শুরু হয়েছে। পুজোর কর্মকর্তারা বলেন, এতদিন সবাই দুটো পুজোকে একই সঙ্গে দেখে অভ্যস্ত, তাই অনেকেই অবচেতন মনে শীতলা পুজোটিকে মিস করছিলেন। একই সঙ্গে কাকতালীয় ভাবে মূর্তিতে আলোর প্রতিফলন দেখে একে একে রটে যায় শীতলা কাঁদছে।