নেতাজির জন্ম দিনে ঘাটাল শহরের কিছু মানুষ বিশেষ উদ্যোগ নিলেন। মরণোত্তর দেহ দান। সেই অনুষ্ঠান নিয়েই বিস্তারিত লিখেছেন স্থানীয় সংবাদের সিনিয়র সাংবাদিক অরুণাভ বেরা।
অরুণাভ বেরা: পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের ঘাটাল বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যোগে মরণোত্তর দেহদান চক্ষুদান ও অঙ্গ দান শিবিরে ৩৪ জন দেহদানের অঙ্গীকার করলেন। সাত জন চক্ষু দান করলেন। এই ধরনের শিবির ঘাটালে প্রথম আয়োজিত হল। বিজ্ঞান মঞ্চ ও যাদবপুরের মুক্ত চিন্তা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে ঘাটালের সত্যজিৎ রায় মুক্তমঞ্চে এই শিবির আয়োজিত হয় ২৩ জানুয়ারি। সহযোগিতা করে এ বি টি এ এবং প্রগতিশীল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সমিতি। বিজ্ঞান মঞ্চের ঘাটাল বিজ্ঞান কেন্দ্রের সম্পাদক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, আরও অনেকে দেহ ও চক্ষুদানে উৎসাহ প্রকাশ করেছেন । আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে অঙ্গ ও দেহ দান করার অঙ্গীকার পত্র পাওয়া যাবে । এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার পীযূষকান্তি ঘোষ,ময়না কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রশান্ত সামন্ত, বিশিষ্ট আইনজীবী দেবপ্রসাদ পাঠক বন্দ্যোপাধ্যায। এছাড়াও ছিলেন বিজ্ঞান মঞ্চ জেলা সম্পাদক নন্দ দুলাল ভট্টাচার্য্য, জেলার সহ-সভাপতি খগেন্দ্র নাথ মাইতি, মুক্ত চিন্তা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার পক্ষে দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় । নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্য দানের মাধ্যমে শিবির শুরু হয় । চেয়ারম্যান বলেন, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এ আই ব্যাঙ্ক করার উদ্যোগ নেয়া হবে। ডাক্তার পীযূষকান্তি ঘোষ দেহদান ও অঙ্গদানের গুরুত্বের কথা বলেন । মরণোত্তর দেহ অঙ্গদানে কোন কুসংস্কার ও ধর্মীয় বাধা নেই বলে বিভিন্ন বক্তারা বলেন। এদিন ঘাটালের বিশিষ্ট ও বহুল পরিচিত অনেকে দেহ দানের অঙ্গীকার’ করেন। এদের মধ্যে প্রশান্ত সামন্ত,অশোক সাঁতরা সহ অনেকেই আছেন।