মন্দিরা মাজি, ‘স্থানীয় সংবাদ’: আজ ১ নভেম্বর (২০২১) থেকে রাজ্য জুড়ে ভোটার কার্ড সংশোধনের কাজ শুরু হচ্ছে। তাই আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে থাকেন কিম্বা ভোটার কার্ডে আপনার যদি কোনও ভুল থেকে থাকে অথবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নাম স্থানান্তরিত করতে চান তাহলে দেরি না করে আজই নভেম্বরই আপনাদের নিকটবতীর বুথে চলে যান। সেখানে নতুন ভোটার তাদের নাম তোলা, ভোটার কার্ডে যাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলিতে কোনও ভুল রয়েছে তা সংশোধন করা ও ছবি পরিবর্তন সহ ভোটার কার্ডের কাজ শুরু হচ্ছে। আবার যাঁরা বৈবাহিক সূত্রে কিংবা কর্মসূত্রে বা অন্য কোনও কারণে ভোটার লিস্টে নাম তুলতে পারেননি বা এক বুথ থেকে অন্য বুথে
ভোটার কার্ড স্থানান্তরিত করতে চান তাঁরাও কাজগুলি করিয়ে নিতে পারেন। কোনও ব্যক্তির ছবি মিসম্যাচ থাকলে তাও এই সময়ে সংশোধন করে নিতে পারবেন। কারোর হাতে যদি বুথে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় না থাকে তাহলে তিনি https://www.nvsp.in/ ওয়েব সাইটে লগইন করেও ভোটে নাম তোলার কাজটি করে নিতে পারে। এর জন্য আপনাকে বেশি দূরে কোথায় যেতে হবে না। ভোটার কার্ড সংক্রান্ত যা কিছুই করতে চান আপনাকে আপনার নিকটবর্তী বুথে গিয়ে করতে হবে। মানে যেখানে আপনি বা আপনার পরিবারের সদস্যরা ভোট দেন সেই জায়গায় নিয়ে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে ভোটার কার্ড সংক্রান্ত কাজ গুলি করতে পারবেন। তবে অনুরোধ, দেরি করবেন না। অনেক সময় আজ যাব কাল যাব করতে গিয়ে অজান্তেই নির্দিষ্ট ডেটটি পেরিয়ে যেতে পারে। ৩০ নভেম্বরের আগে
কাজটি করে নিতে হবে। আর বুথে যাওয়ার আগে সুনিশ্চিত হয়ে যান আমি যে নথিগুলির কথা বলব সেগুলির অরিজিনাল এবং ফটোকপি তথা জেরক্স রয়েছে কিনা। উপযুক্ত নথি না থাকলে কিন্তু আপনি যে উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সেই কাজটি সম্পন্ন হবে না। আসুন জেনে নিই ভোটার কার্ডের কাজগুলি করতে গেলে কি কি নথি লাগবে: যাদের নতুন ভোটার কার্ড হবে:➥বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে বার্থ সার্টিফিকেট বা স্কুল সার্টিফিকেট।➥ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের লিখিত স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট। ➥বাবা অথবা মায়ের ভোটার কার্ড। ➥ দু’ কপি বড় পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। যারা ভোটার কার্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংশোধন করাতে চান:➥ যে তথ্যটি ভুল রয়েছে তার উপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষ নথি। যাঁরা তাঁদের নাম রাজ্যের যে কোনও এক বুথ থেকে অন্য বুথে স্থানান্তরিত করে আনতে চান সেক্ষেত্রে যেখানে নাম রয়েছে সেখানের ভোটার লিস্টের প্রথমপাতার ফটো কপি এবং যে পাতায় তাঁর নাম রয়েছে সেই পাতার ফটো কপি আনতে হবে। সেই সঙ্গে ➥বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে বার্থ সার্টিফিকেট বা স্কুল সার্টিফিকেট। ➥ স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের লিখিত স্থায়ী বাসিন্দার সার্টিফিকেট। ➥দু’ কপি বড় পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি। আপনার পরিচিত যদি কেউ মারা যান তাঁর নামটিও ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। এসম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে ১৯৫০ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেও জানতে পারেন।