রবীন্দ্র কর্মকার: ঘাটাল শহরের দুটি ব্যস্ততম জায়গায় তৈরি হচ্ছে আন্ডারপাস। ফলে ব্যস্ততম পিচ রাস্তার উপর দিয়ে প্রাণ নিয়ে যাতায়াত করার বদলে রাস্তার নিচে দিয়ে নিরাপদে পার হতে পারবেন ছাত্রছাত্রী থেকে বয়স্ক মানুষজন। বসন্ত কুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে একটি এবং বিদ্যাসাগর ব্রিজের পশ্চিমে আর একটি মোট দুটি আন্ডারপাস রাস্তার কাজ চলছে জোর কদমেই। ঘাটাল মহকুমায় ট্রেন লাইন নেই। তাই ট্রেন লাইন না থাকার জন্য ঘাটাল শহরের মধ্য দিয়ে যে পাঁশকুড়া- টু চন্দ্রকোণা সড়ক গিয়েছে, ওই সড়কের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচলের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। শহরের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং বসন্তকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ছাড়াও প্রসন্নময়ী স্কুলের পড়ুয়া, ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের পড়ুয়াদেরও ওই রাস্তা পারাপার হয়ে এক দিক থেকে অন্য দিকে যাতায়াতের খুবই সমস্যা হয়। বসন্তকুমারী স্কুলের ছাত্রীদের রাস্তা পারাপারের জন্য তো ট্রাফিক পুলিস দিতে হয়। অন্যদিকে ব্রিজের পশ্চিমদিকে ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঘাটাল ব্লকের একাংশের মানুষকে ওই ব্যস্ত সড়ক পেরিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে খুবই সুবিধে হবে। ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাসচন্দ্র ঘোষ বলেন, সেজন্যই ওই দুটি জায়গায় আন্ডারপাস রাস্তার প্রয়োজন ছিল। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এই দুটি জায়গায় আন্ডারপাস রাস্তা করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে প্রস্তাব রেখে এসেছিলাম। ঘাটাল বিধায়ক শঙ্কর দোলইও পূর্তদপ্তরকে জানিয়েছিলেন। এখন সেটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে। পূর্ত দপ্তরের ঘাটাল মহকুমা হাইওয়ে ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গোকুল দাসমালাকার বলেন, দুটি আন্ডারপাস রাস্তাকে একটি প্রোজেক্ট হিসেব ধরা রয়েছে। দুটির জন্য মোট খরচ হবে এক কোটি ৪৬লক্ষ টাকা। বসন্তকুমারী হাইস্কুলের সামনের আন্ডারপাসটি চার মিটার চওড়া এবং তিন মিটার উচ্চতা করা হবে। ব্রিজের নিচেরটি ৪০মিটার লম্বা এবং দু’মিটার চওড়া হচ্ছে। দুটিরই কাজ জুন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে পূর্ত দপ্তর জানিয়েছে।এদিকে পুরভোটের আগেই নাগরিকদের দাবি মতো ওই দুটি আন্ডারপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাওয়ার ফলে খুশি শহরের মানুষ। কারণ, আন্ডারপাসগুলি তৈরি হলে বহু মানুষকে আর ব্যস্ততম সড়কের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হবে না।