তৃপ্তি পাল কর্মকার: তৎপরতার সঙ্গে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাতে জাতিগত শংসাপত্র তুলে দেওয়ার জন্য রাতেই বিশেষ ক্যাম্প করলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক। ২৮ জানুয়ারি রাতে দাসপুর-১ ব্লকের জনার্দনপুরে মহকুমা শাসক অসীম পাল নিজে উপস্থিত হয়ে জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করলেন। মহকুমা শাসক বলেন, সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পটি শুরু হয়েছিল। অন্যান্য আধিকারিক ও অফিস কর্মীরাও ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ক্যাম্পটি চলে। প্রায় ৩৫০ আবেদন পত্র সংগৃহীত হয়েছে। খুব শীঘ্রই আবেদনকারীদের শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হবে।
আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকাংশই শ্রমজীবী। তাই তাঁরা দিনের বেলায় ব্যস্ত থাকেন। সেজন্য ওই ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য জনার্দনপুরে রাতেই ক্যাম্প করা হয়েছিল। মাছগেড়িয়া, হরিরাজপুর, দুবরাজপুর, রামদাসপুর, জনার্দনপুর, শ্রীরামপুর, ডিহিপলসা, কাদিলপুর, গোবিন্দপুর, অভিরামপুর,পোস্তঙ্কা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায় রাতেই ক্যাম্পে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে ক্যাম্প থেকে সমস্ত নথি নেওয়া হয় এবং স্ক্রুটিনি করে দেখে নেওয়াও হয়।
পোস্তঙ্কার বাসিন্দা আদিবাসী যুবক রাকেশ নায়েক বলেন, আগে জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই ঝামেলা পোহাতে হত। এমন সব নথি চাওয়া হত যেগুলো আমরা জোগাড় করতেই পারতাম না। তাই এতদিন আমরা জাতিগত শংসাপত্রের জন্য আবেদনই করতে পারিনি। এই মহকুমা শাসক আসার পর কাগজের বোঝা অনেকটাই কমিয়েছেন। নিয়মেরও সরলীকরণ করেছেন। তাই আমাদের সম্প্রদায়ের এত মানুষ এইভাবে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।