মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে যে মাসিক সাম্মানিক পান তা [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] তিনি নেবেন না। কারণ তিনি মনে করেন মানব সেবার জন্য কোনও মূল্য লাগে না। এমনই অভিনব মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন ঘাটাল ব্লকের ইসলামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোমেশ চক্রবর্তী। ২০১৮ সালে সোমেশবাবু মোহনপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের লছিপুর গ্রাম থেকে জিতে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন। সোমেশবাবু বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে একটি মাসিক সাম্মানিক পাওয়া যায় এটা আমার কম-বেশি সবাই জানি। স্বাভাবিকভাবে আমারও সেই সাম্মানিক পাওয়ার কথা। কিন্তু আমি প্রথমেই সেই মাসিক সাম্মানিক নেওয়ার জন্য না করে দিই। গ্ৰাম পঞ্চায়েত থেকে বিল পাঠানো হত। সেখানে আমি মৌখিকভাবে জানাই এবং আমার নামের জায়গায় unwilling to take honourium লিখে দেওয়া হত। কারণ শিক্ষক হিসেবে আমার যেটুকু আয় রয়েছে তাতে আমার সংসার ভালো মতো চলে যায়। এরপর ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকার ও পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা দেওয়া হবে। তখনও আমি জানিয়ে দিই আমি সেই টাকা নিতে পারবো না।
অনেকেই হয়তো সোমেশবাবুর এই কাজ দেখে বলবেন তিনি নিজের মহানুভবতা দেখাচ্ছেন। লোকের কাছে প্রচার করতে চাইছেন। কিন্তু বিষয়টি একদমই তা নয়। সোমেশবাবুর ভাষায়, মানুষের সেবা করার জন্য তাঁর মূল্যের প্রয়োজন নেই। বরং তাঁকে যারা মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানান তিনি। একজন পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে গ্ৰামের মানুষের সুবিধা-অসুবিধাগুলির যদি সমাধান করতে পারেন তাহলে তাঁর কাজের মূল্য তিনি পাবেন এমনটাই মনে করেন সোমেশবাবু।
Home এই মুহূর্তে ব্রেকিং পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে সাম্মানিকের টাকা না নিয়েই মানুষের জন্য কাজ করতে চান