শ্রীকান্ত ভুঁইঞা:পরিবারের অজ্ঞতা জনিত কারণে সাপের কামড়ে মৃত্যু হল সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীর। ওই ছাত্রীর নাম সোনালি সামন্ত। ডাক নাম সিনু। বাড়ি দাসপুর থানার সোনামুইতে। বছর ১৪’র ওই ছাত্রীকে ৩জুলাই দুপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কামড়ায়। সিনুকে বিষধর সাপে কামড়েছে তা প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি তার পরিবার। কিছু একটা কামড় দিয়েছে এটা ভেবেই বাড়ির লোকজন পাশের গ্রামে এক ওঝার কাছে নিয়ে গেলে সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ঝাড়ফুঁক করা হয়। এরপর সোনালির অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে প্রথমে তাকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করলে সোনালীকে তমলুক হাসপাতালে রেফার করা হয়। তমলুক হাসপাতালের পথেই তার মৃত্যু হয়।
সোনালীর মৃত্যুর পর তার রুমে একটি কালাচ সাপকে দেখা গিয়েছে। কালাচ সাপের কামড়েই সোনালির মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরাও নিশ্চিত। ওঝার ঝাড়ফুঁক জনিত কারণে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হবার জন্য এই মৃত্যু বলে মনে করেন সর্পবিশারদ তথা গোমকপতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বুড়াই। তিনি বলেন, সাপের কামড় দিলে বাড়িতে এক মিনিটও দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে সাপেকাটা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।
এই ভাবে অজ্ঞতা জনিত কারণে এই বাংলার বহু ‘সোনালি’র সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি সুব্রতবাবুর পরামর্শ মেনে চলি তাহলে আগামী দিনে আর কোনও মানুষকে অন্তত সাপের কামড়ের জন্য অকালে চলে যেতে হবে না।