রবীন্দ্র কর্মকার: বিদ্যাসাগরের মেজমেয়ে কুমুদিনীদেবীর আত্মীয় বীরসিংহে এসে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান ও বাড়ি স্যানিটাইজ করে গেলেন। একইসঙ্গে কয়েকটি স্কুলও স্যানিটাইজ করলেন তিনি। ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে হুগলির শ্রীরামপুর থেকে অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি কয়েকজনকে নিয়ে চলে আসেন বীরসিংহ গ্রামে।কুমুদিনীদেবীর নাতি হলেন অমিতাভবাবুর বাবার পিসতুতো দাদা। এদিন বিদ্যাসাগরের বাড়িটিকে সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করেন তিনি। একইসঙ্গে গৌরার সোনামুই বালিকা বিদ্যালয় ও মিড-ডে মিল চত্ত্বর, কম্পিউটার রুম, ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুল সহ ঘাটাল রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবায়তন স্কুল স্যানিটাইজ করেন। অমিতাভবাবু শ্রীরাম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ ও স্যানিটাইজেশন করেন। অমিতাভবাবু বলেন, কলেরা মহামারির সময় বিদ্যাসাগর যেভাবে ত্রাতা ভূমিকায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সেই তুলনায় যদিও এটা নগন্য তবুও তাঁরই দেখানো পথ ধরে আমরা এই করোনা মহামারির সময় সমাজকল্যাণে ঝাঁপিয়ে না পড়ি তবে বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে তাঁকে সঠিক শ্রদ্ধা জানানো হবে না। বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অমিতাভবাবু বিনাখরচে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন জায়গা স্যানিটাইজ করে চলেছেন। শুধু যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিলেই তিনি তাঁর সংস্থার কর্মীদের নিয়ে স্যানিটাইজ করতে চলে যাবেন বলে জানালেন তিনি। অমিতাভবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন ৯৩৩১২৩৯১৬৭ এই নাম্বারে। •ছবি তুুলেছেন শ্রীকান্ত ভুঁইঞা
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।