সৌমেন মিশ্র ও শ্রীকান্ত ভুঁইয়া: কোলে বছর ৯ এর সন্তানকে নিয়ে উধাও মা। স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে,বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ি। ২ জানুয়ারি রবিবার দাসপুর পুলিশে বৌমা ও নাতিকে ফিরে পেতে শ্বশুর ও শাশুড়ি। শ্বশুর শাশুড়ি জানাচ্ছেন বৌমা অন্য রুমে থাকতো। বড় ফোনে সবসময় কীসব করত পাশাপাশি গভীর রাত পর্যন্ত কথা চলত। স্বামী মাঝে মধ্যেই রাতে স্ত্রীকে ফোন করলে স্ত্রীর ফোন থেকে এনগেজড টোন আসতো। শুধু পরিবার নয় ভরা সংসারে সন্তানকে
পাড়ার বউ এর উধাও হওয়ার ঘটনায় পরকীয়ার আঁচ পেয়েছেন প্রতিবেশীরাও। ঘটনা দাসপুর থানার গোবিন্দনগরের সেনাপতি পরিবারের। আজ সোমবার শ্বশুর মোহন সেনাপতি জানান,১লা জানুয়ারি একশো দিনের কাজের ফাঁকে সকাল ৯টা নাগাদ বাড়ি এসে বৌমা পূজাকে খাবার চাইলে দেখেন সারা ঘর ফাঁকা। বৌমা ও বছর ৯ এর নাতিকে বারে বারে ডেকেও কোনো সাড়া মেলেনি। পরে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনের পাশাপাশি বৌমার গয়লাখালির বাপের বাড়িতেও খোঁজ চালানো হলে কোনো পাত্তা নেই । শাশুড়ী শঙ্করী সেনাপতি জানান,ছেলে নিশিকান্ত ভিনরাজ্যে সোনার
কাজ করে। সেখানেও যাবার কথা নয়। পাশাপাশি ছেলের সাথে বা তাঁদের সাথে কোনো ধরনের ঝগড়াঝাটিও হয়নি যে বৌমা রাগ করে পালাবে। তবে বৌমা পূজা কাজের ফাঁকে বা গভীর রাত পর্যন্ত তার হাতে থাকা বড় ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকত। এ নিয়ে স্বামী নিশিকান্তের সাথে কথা-কাটাকাটি এর আগে হয়েছে। স্বভাবতই পরিবারের প্রাথমিক ধারণা বৌমা পূজার সাথে ওই ফোনের মাধ্যমেই কারো সাথে সম্পর্ক স্থাপন হয় আর তার জেরে সন্তানকে নিয়েই সে পালিয়েছে। ঘটনা যাইহোক দাসপুর পুলিশ সমস্ত বিষয়টি নিয়ে ইতি মধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে পাড়া প্রতিবেশী বা পূজার পরিবার এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কাউকে সন্দেহ করছে না। এখন দেখার মুঠি ফোনের মুঠোয় সেনাপতি পরিবারের মানসম্মান ধূলোয় মিশেছে নাকি এসব নিছক কল্পনা,দীর্ঘদিন স্বামীর থেকে দূরে থেকে নেহাত অনুরাগে পূজা তার সন্তানকে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।