রবীন্দ্র কর্মকার: ২০২১ সালে নির্বাচনে নতুন ভোটাররা কোন দিকে যাবে তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে অঙ্ক কষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, ঘাটাল মহকুমার তিনটি বিধানসভা এলাকাতেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের চাইতে গড়ে ১০ হাজার করে ভোট বেড়েছে। অন্য দিকে গত লোকসভা নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল ব্যাখ্যা করলে দেখা যাবে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে শাসক দলের প্রার্থীরা ১০ হাজারের কম ভোটের ব্যবধানে জিতে রয়েছেন। চন্দ্রকোণা বিধানসভা কেন্দ্রে সেই ব্যবধান আরও কম। মাত্র ৩৬৩১ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থী বিজেপি প্রার্থীর থেকে এগিয়ে ছিলেন।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ২০১৯ সালে তৃণমূলের ফল খুবই খারাপ হয়েছিল। তাই বাড়তি ভোট নিয়ে শাসক দলের দুশ্চিন্তাটাই সবচাইতে বেশি। যদিও তৃণমূল নেতা শ্যাম পাত্র বলেন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের থেকে ২০২১ সালের নির্বাচনের অনেক তফাৎ রয়েছে। আমরা অনেকটাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করে নিয়েছি। অন্য দিকে সাধারণ মানুষের মন থেকেও মোদি ইমেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেজন্য এবার ঘাটাল মহকুমার তিনটি বিধানসভাতেই তৃণমূল যে জিতবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
বিজেপির ঘাটাল লোকসভা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রামকুমার দে বলেন, যুবক-যুবতীরা বর্তমান শাসক দলের উপর ক্ষোভে লাল হয়ে রয়েছেন। সমস্ত ধরনের নিয়োগ বন্ধ। রাজ্যে শিল্প নেই। তাই নতুন ভোটাররা ভুল করেও তৃণমূলকে ভোট দিতে যাবেন না। তাই আমরা ঘাটাল মহকুমার তিনটি আসনেই বহু ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করব।
যদিও রাজনৈতিক মহল অন্য কথা বলছে। তাদের ব্যাখ্যা, ২০১৯ সালের নির্বাচনে বামফ্রন্টের বহু ভোট বিজেপিতে পড়েছিল। বিগত দু’ বছরে বামফ্রন্ট অনেকটাই সেই ভোটারকে নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। তাই ঠিক কী ফলাফল হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়।