সৌমেন মিশ্র: বড়সড় সাফল্য দাসপুর পুলিশের। দাসপুর থানার শ্যামসুন্দরপুর হুসনাবাজারের প্রৌঢ়া খুনের ঘটনার আট ঘন্টার মাথায় খুনিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হল দাসপুর পুলিশ। এক সঙ্গীকে নিয়ে ওই শাশুড়িকে খুন করেছে তারই বৌমা সুস্মিতা বটব্যাল গোস্বামী। বৌমা জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছে। এও স্বীকার করেছে খুন করার পর কোথায় অস্ত্র ফেলা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ সোকচেম্বার খুলে অস্ত্র খোঁজার কাজ করছে। পুলিশের এই সাফল্যে অভিভূত ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দা। তাঁরা দাসপুর থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল এবং ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারীক অগ্নিশ্বর চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ওই গ্রামের গোস্বামী পরিবারে মাত্র পাঁচ জন সদস্য। বৃদ্ধ শ্বশুর, ওই প্রৌঢ়া এবং ওই প্রৌঢ়ার ছেলে, বৌমা ও নাতনি। আজ ৯ অক্টোবর দুপুরে প্রৌঢ়ার ছেলে বাইরে ছিলেন। দুপুরে মৌসুমী গোস্বামী নামে ওই প্রৌঢ়াকে বাড়িতে গলার নলি কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। খুনের ঘটনাটি জানার পরই দাসপুর থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল ঘাটাল মহকুমা পুলিস আধিকারীক অগ্নিশ্বর চৌধুরী ঘটনা স্থলে গিয়ে তদন্তে নামেন। আটক করেন বৌমা, শ্বশুর এবং ছেলেকে। টানা জেরার মুখে বৌমা এক সময় সে ভেঙে পড়ে। তখনই সে ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। বৌমা পুলিসকে জানায়, সে বাড়ির পুরোহিতের গোরাচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের সাথে তার শাশুড়িকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে এবং পড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করে। ওই পুরহিতের সাথে বৌমার প্রনয়ের সম্পর্ক রয়েছে। রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় গোরাচাঁদকে।
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।