রবীন্দ্র কর্মকার: ঘাটালে আবার যুবক-যুবতীর বিয়ে হল গণ আদালতে। প্রেমিকার জেদের কাছে হার মেনে শেষমেশ বিয়ে করতে হল প্রেমিককে। পাড়ার মনসা মন্দিরেই সিঁদুর পরিয়ে, মালা বদল করে বিয়ে হল ওই
যুবক-যুবতীর। ২৩ আগস্ট রাতে, দাসপুর থানার জোতকানুরামগড়ের মাইতি পাড়ায় মনসা মন্দিরে ওই যুবক-যুবতীর বিয়ে ঘিরে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায়। ওই যুবকের নাম অরিন্দম মাইতি, ডাক নাম রাকেশ। যুবতীর নাম প্রিয়াঙ্কা দোলই। বাড়ি দাসপুর থানার কলাগেছিয়ায়। মেয়েটির মামা বাড়ি ঘাটালের শ্রীপুর এলাকায়। সেখানেই সে থেকে কলেজে পড়াশোনা করত। দীর্ঘ চারবছর ধরে তাদের প্রেম চলছিল। দীর্ঘ প্রেমের পরও কেন জনতার চাপে এই বিয়ে হল? জানা যায়, ২৩ আগস্ট শুক্রবার মেয়েটি কলেজ যাওয়ার সময় নাকি দেখতে পায় তার প্রেমিক অন্য একটি মেয়েকে বাইকে চাপিয়ে ঘাটালের পার্কে ঢুকছে। এটি দেখে মেয়েটির মেজাজ যায় বিগড়ে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি কলেজ না গিয়ে সোজা চলে যায় ছেলেটির বাড়ি জোৎকানুরামগড়ে। সেখানে গিয়ে অরিন্দমকে ফোন করে বলে, আমি তোমার বাড়িতে এসেছি, আমাকে এখনই বিয়ে করতে হবে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করে। জাতিগত সমস্যা দেখিয়ে ছেলেটির বাড়ির লোকও মেয়েটিকে বৌমা হিসেবে মেনে নিতে চাইছিল না। আর মেয়েটিও ছাড়বার পাত্রী নয়। এইরকম টানটান নাটকের পর সন্ধ্যায় যখন অরিন্দম বাড়ি ফেরে তখন শুরু হয় আরও উত্তেজনা। দুজনেই যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক ছিল তাই শেষমেশ উপস্থিত জনতার চাপে অরিন্দম তার প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কার ইচ্ছেতেই ওই রাতেই সিঁদুর পরিয়ে মালা বদল করে বিয়ে করে। এই বিয়েতে পাত্রী কিন্তু যুদ্ধ জয়ের আনন্দে খুশি হলেও পাত্র মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এবার দেখার, আগামীদিনে তাদের দাম্পত্য জীবন কেমন কাটে!