সৌমেন মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: করোনার জেরে লকডাউনে বন্ধ স্কুল সেই সুযোগে এলাকায় বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। ছাত্ররা গিয়েছে ভিনরাজ্যে বা গ্রাম ছেড়ে [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] কাজের খোঁজে। আর ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেরই বিয়ে হয়েছে পরিবারের চাপে। ২০০১ সালে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে যে দত্তবাবু এলাকার নতুন প্রজন্মের মধ্যে লেখাপড়ার গুরুত্ব ছড়িয়ে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছিলেন সেই দত্তবাবুই ক্রমশ হার মানছিলেন এই করোনার লকডাউনের বর্তমান প্রভাবের কাছে। বিদ্যালয় এবং তার আসপাশের এমন অবস্থা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ছিলেন ঘাটাল মহকুমা প্রশাসন। আর আজ মূলত ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটালের ওসি দেবাংশু ভৌমিক, ঘাটালের বিডিও সঞ্জীব দাসের উদ্যোগ সাথে বিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এক বিশেষ সেমিনার হল। আমরা কথা বলছি ঘাটালের মহরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে নিয়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত জানান, বর্তমানে তাঁর বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ৪০০ পাশাপাশি ছাত্রদের সংখ্যাটা সাড়ে তিনশ। সুভাষবাবু জানান, বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণিতে মোট ৫২ জন ভর্তি হয় এনুয়াল পরীক্ষা দেয় ৪৩ জন। এবার টেস্ট পরীক্ষা দিচ্ছে ৩৩ জন। স্কুল ছুটদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যাটা যথেষ্ট। তিনি বলেন, মূলত এই পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই আজ ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ নিয়ে বিশেষ সেমিনার হয় পাশাপাশি এক র্যালি হয়। র্যালিতে হাঁটে কন্যাশ্রীর ছাত্রীরা,বিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস ছাত্রীদের বোঝান এই বাল্য বিবাহ কতটা মারাত্বক যার পরিণতি মৃত্যু অবদি যেতে পারে। পাশাপাশি তিনি জানান, কীভাবে সাধারণ পথে পড়াশোনার মাধ্যমে একজন ছাত্রী নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের ছেলের মতই বাবা মায়ের ভরসা হতে পারে। অন্যদিকে ঘাটালের ওসি দেবাংশু ভৌমিক জোর দেন বর্তমান প্রজন্মের মোবাইলের অপব্যবহার নিয়ে। পাশাপাশি পড়ুয়ারা কীভাবে এই মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনও মূহুর্তে বিপথে চলে যেতে পারে সে বিষয়েও সচেতন করেন। অন্যদিকে ঘাটালের বিডিও সঞ্জীববাবুও এই সেমিনারে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন।