সৌমেন মিশ্র, স্থানীয় সংবাদ ঘাটাল: ভালোবাসা,প্রেম, ভালো লাগার মুহূর্তেরা কী ধর্ম বর্ণের জাঁতাকলে পিষে চুরমার হয়ে যায়? প্রেমের পরিণতিতে বিবাহের আশা করা কি অপরাধ? [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] দাসপুরের এ ঘটনা এমনই একাধিক প্রশ্নের মুখে ফেলেছে আধুনিক প্রজন্ম ও তাদের প্রেমকে।
ভালোবাসার টান আর সেই টানেই বাবা-মা নিজের পরিবার ছেড়ে দাসপুরের প্রেমিকের সাথে ঘর বাঁধতে চেয়ে সুদূর বারাসাত থেকে পাড়ি। বারে বারে প্রেমিককে ফোন করেও হঠাৎ করেই সে আর ফোনও তুলছে না। হন্যে হয়ে সারা গ্রাম খুঁজে প্রেমিকের বাড়ি পৌঁছেও পরিবারের থেকে তিরস্কার। অগত্যা রাস্তায় বসেই প্রেমিকের অপেক্ষায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার লক্ষ্মীপুরের নুরজাহান খাতুনের অভিযোগ, বছর আড়াই ধরে দাসপুরের পোস্তংকা গ্রামের রাজেশ দাসের সাথে ভালোবাসা ছিল তাঁর। কলকাতার এক কর্পোরেট সংস্থায় দুজনেই কাজ করতেন। সেই থেকে ভাব-ভালোবাসা। এর আগে একাধিকবার রাজেশের বাড়িও এসেছেন নুরজাহান। কিন্তু বর্তমানে রাজেশ পরিবার ও সমাজের চাপে তাকে মেনে নেওয়া তো দূর দেখা পর্যন্ত করছেন না, অভিযোগ নুরজাহানের।আর সেই রাজেশকে পেতেই শুক্রবারের রাত পর্যন্ত দাসপুর থানার বালিপোতা বাজার এলাকায় রাজেশের মামা বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন নুরজাহান। পাত্তা নেই প্রেমিক রাজেশের। খবর পেয়ে দাসপুর পুলিশ নুরজাহানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে নুরজাহান জানান, রাজেশের সাথে কাটানো মূহূর্তের একাধিক ছবি তার মোবাইলে গোচ্ছিত আছে। রাজেশকে পেতে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হবেন। স্থানীয় সংবাদের তরফে রাজেশের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। রাজেশ স্বীকার করেন তাঁদের মাঝে ভালোবাসা ছিল। কিন্তু নুরজাহানকে তিনি বিয়ে করবেন না তা আগেই বলে রেখে ছিলেন। যার জন্য নুরজাহান নিজের পরিবার ছেড়ে এলেন সেই প্রেমিকই যদি নুরজাহানকে অস্বীকার করেন প্রশাসনের পক্ষে কি সম্ভব নুরজাহানকে তার ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়া?