•লকডাউন মানে সপরিবারে নিরাপদে থাকা, দেশবাসীকে বিপদ থেকে বাঁচানো, ছুটি উপভোগ নয়! ২৩ মার্চ বিকেল থেকে দেশের সঙ্গে রাজ্যের সিংহভাগ এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউন করার পরই কিছু কিছু মানুষের মধ্যে অন্যধরনের অনুভূতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এই লকডাউনের সুযোগে এতো দিনের এক ঘেঁয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে একটু বিনোদন করে নিই। তাই অনেকই বাড়ি ঢুকে ব্যাগপত্তর রেখে দিয়েই ক্লাবে চলে যাচ্ছেন, যাচ্ছেন বাজারে, চুটিয়ে সারা দিন আড্ডা দিচ্ছেন। কেনা কাটার ভিড় জমছে। লকডাউনের ‘ছুটিতে’ বাড়িতে ভালোমন্দের মেনুর জন্য সারা দিন পরিকল্পনা চলছে। মাস্ক বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কোনও বালাই নেই। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁদের চোখ রাঙানো হচ্ছে। সারা বিশ্ব যেখানে উদ্বিগ্ন সেক্ষেত্রে তাঁদের এই করোনা নিয়ে বিন্দুমাত্র হেলদোল নেই। দয়াকরে এমনটি ভাববেন না। নিজে, নিজের পরিবারের সদস্যদের, পরিচিতদের এবং সর্বোপরি দেশ ও বিশ্বকে সুস্থ রাখতে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি থাকুন। এটা যেমন কর্মজীবনের এক ঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য অবকাশ নয় তেমনই কোনও শাস্তি নয়। আগামী দিনের সুস্থ পৃথিবী গড়ে তুলতে এই কটা দিনের শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন যাপন করতে সমস্যা কোথায়? আর এই ভিডিওটি লকডাউনের পর মুম্বাই থেকে সংগৃহীত। বিনা কারণে যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়েছেন তাঁদেরকে পুলিশ তাড়া করছে। বেয়াড়া নাগরিকদের দেশ জুড়ে সর্বত্র এরকমই করা উচিৎ। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।