মনসারাম কর: ঘাটালে আবারও খেটে খাওয়া শ্রমিক পরিবারের দরজায় দরজায় গেলেন সরকারি আধিকারিক। লক্ষ্য খেটে খাওয়া অসংগঠিত শ্রমিকদের প্রাপ্য সরকারি সুযোগ বুঝিয়ে দেওয়া ও সরকারের সামাজিক সুরক্ষা
যোজনার আওতায় তাঁদের নিয়ে আসা। আজ ৯ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শ্রম দপ্তরের সর্বোচ্চ আধিকারিক বিতান দে নিজে পৌঁছে যান ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামের পাড়ায় পাড়ায়। দিনভর চড়া রোদের মধ্যেও বুঝিয়ে বেড়ান শ্রমিকদের অধিকারের কথা। বীরসিংহ এলাকার যে সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের এখনও সামাজিক সুরক্ষা যোজনার কার্ড হয়নি তাঁদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই হাতে কার্ড তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। হাতের মধ্যে এই কার্ড থাকলে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত একজন শ্রমিক এবং তার পরিবার কী কী সুযোগ সুবিধা পেতে পারবে তা বিস্তারিত তুলে ধরেন সকলের সামনে। ঘাটালের কোনও অসংগঠিত শ্রমিক যাতে শ্রম দপ্তরের সুযোগ-সুবিধা থেকে বাদ না পড়ে তার জন্য নির্দেশ দিলেন ঘাটালের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীদের। ঘাটালের অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার হর্ষবর্ধন দাস গত সপ্তাহেই ঘাটালের গ্রামে-গ্রামে এইরকম ক্যাম্প করেছিলেন, তার সুফল মিলেছে হাতেনাতে। অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পেরেছে। আজ আরও একধাপ এগিয়ে সেই ভূমিকা পালন করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খোদ ডেপুটি লেবার কমিশনার বিতান দে। বীরসিংহের পর সরাসরি তিনি পৌঁছে যান দাসপুর-২ ব্লকের গৌরাতে। এখনকার শ্রমিকদের অভাব এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখেন। পরিদর্শনের পর তিনি জানান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন করছি, সন্ধ্যাকালীন অভিযানও করছি, এর প্রধান উদ্দেশ্য হল শ্রমদপ্তরের প্রকল্প যারা জানেনা তাদের জানানো বা জেনেও যারা করেনি তাদের বোঝানো ও সচেতন করা, আমরা চেষ্টা করছি যাতে সমস্ত মানুষ এই স্কিমের মধ্যে আসেন এবং থাকেন।