চৌধুরী সামসুল আলম: খড়ার পৌরসভায় পূর্বতন চেয়ারম্যান এবং ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়া ওই পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন ড. উত্তম মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়ে স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটা অবশ্য তৃণমূল দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আমাদের কুচুটে স্বভাব। কিছু না বলে থাকতে পারি না। আচ্ছা!একটা জিনিস বুঝতে পারছি না যে, খড়ার একটা পৌরসভা। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরে খড়ার পৌরসভায় ক্ষমতায় আছে। তার আগে সিপিএম না হয় ওখানে হার্মাদ তৈরি করেছিল। কিন্তু পৌরসভা চালানোর একটাও অভিজ্ঞ, রুচিশীল দক্ষ লোক তৃণমূল এতবছরেও তৈরি করতে পারলো না। দায়িত্ব দেওয়া হল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শঙ্কর দোলুইকে। তিনি হতে পারেন বিধায়ক। কিন্তু বাস করেন তো গাঁয়ে। তৃণমূল দল প্রমাণ করল আসলে তাদের কোনও যোগ্য লোক নাই। খড়ারবাসীরা ভাববেন বিষয়টা সঙ্গত কিনা! আগামীতে নিশ্চয়ই এর পক্ষে অথবা বিপক্ষে খড়ারবাসী মতামত অথবা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জবাব দেবেন। তবে বেশিরভাগ মানুষের মতে, তৃণমূল আবার এক মহাভূল করে বসল। পঞ্চায়েতকে বিকেন্দ্রীকরণের পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে এসে আমলাতন্ত্রের হাতে সঁপে দিয়ে আজ মাথায় চাপড়াচ্ছে। কেনই গ্রামোন্নয়ন কমিটিগুলোকে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, কেনই বা গ্রামসংসদের আদ্যশ্রাদ্ধ করা হয়েছিল, সেটা যদি ঠিক হয়ে থাকে তাহলে কেনই বা দুয়ারে প্রশাসন?
মানুষের উন্নয়ন, এলাকার মানুষের সুবিধা অসুবিধা সেই এলাকার মানুষই ভাববেন। বাইরের মানুষের পক্ষে সেই ভাবনাটা কোন দিনই সম্ভব নয়। আজও যদি শাসকপক্ষীয় নেতাদের মধ্যে এই ভাবনাটা জাগ্রত না হয় আর কবে হবে?
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।