আকাশ দোলই, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল ঘাটালের খড়ার শ্যামসুন্দরপুর এলাকা। মৃত গৃহবধূর নাম মৌপিয়া ছাতিক (১৯)। মৌপিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, মৌপিয়াকে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করে ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। ঘাটাল থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুর করেছে।
বছর তিনেক আগে খড়ারের শ্যামসুন্দরপুরের যুবক ছোটু ছাতিকের সঙ্গে বিয়ে হয় মৌপিয়ার। মৌপিয়ার বাপের বাড়ি ঘাটাল থানারই হেমন্তপুরে। মৌপিয়ার দশ মাসের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। মৌপিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনেরা জানান, ভাইফোঁটার দিন মৌপিয়া বাপের বাড়ি গেলে বাপের বাড়ির সদস্যরা কথায় কথায় কিছুটা আঁচ পেয়েছিলেন যে, মৌপিয়ার সংসারে মাঝে মধ্যেই অশান্তি চলছে। কিন্তু তাাঁরা বিষয়টা গুরুত্ব দেয়নি। আজ ১২ নভেম্বর বিকেল নাগাদ তাঁরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানতে পারে যে, তাাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একই থানা এলাকার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বের মধ্যে মৃতের স্বামী থেকে শুরু করে শ্বশুর বাড়ির কেউই খবর দেয়নি যে তাাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর থেকেই তাদের সন্দেহ দৃঢ় হয় যে তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মৌপিয়ার বাপের বাড়ি সদস্যরা বলেন, শেষ ভাই ফোঁটাতে বাপের বাড়ি এসেছিল মৌপিয়া, তখনই আঁচ করেছিলাম বিষয়টা। কথায় কথায় মৌপিয়া বলে, আমাদের পরিবারে প্রচুর অশান্তি হচ্ছে । কিন্তু সেটা যে এমন হবে বুঝতে পারিনি। চলে গেল মৌপিয়ার প্রাণটা! বলতে বলতে হাসপাতালেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। মৌপিয়ার বাপের বাড়ির লোকজন ইতিমধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি তুলে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।