নিজস্ব সংবাদদাতা: খাতা-পেনের পাশাপাশি বেঞ্চে বালতি, মগ, থালা, বাটি বা ঘটি সঙ্গে না রাখলে স্কুলে ক্লাস করা বা পরীক্ষায় বসা যায় না খড়ার পুরসভার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়ে। যার পাশে ওসব থাকবে না, তার ভাগ্যে জোটে মহা কষ্ট। না, কোনও রসিকতা করা হচ্ছে না। আর শিক্ষিকাদের কোনও বিধানও এটা নয়। একটু বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে ক্লাসরুমে টপটপ জল পড়ে। সেজন্যই ওই ব্যবস্থা করতে হয় তাদের।
আর বৃষ্টির জলই এক মাত্র সমস্যা নয়। ক্লাসরুমগুলির যে অবস্থা তাতে যেকোনও সময়েই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের। অভিযোগ, বিষয়টি বার বার শিক্ষা দপ্তরেও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।
খড়ার শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৬৩ সালে ওই স্কুলটি মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রীকে নিয়ে শুরু হয়। স্কুল ভবনের জন্য ছোট্ট একটি জায়গার ওপর চুনসুরকি আর ইঁট দিয়ে বাড়ি তৈরি হয়। পরে ওই একই ভিতের ওপর তিনতলও নির্মাণ করা হয়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে বাড়িব ভিত এবং নির্মাণ পদ্ধতি সেই পাঁচ দশক আগেকার প্রযুক্তিতেই তৈরি হয়েছিল। রুম সংখ্যাও কম। মোট সাতটি। দ্বিতল ও ত্রিতলে দুটি করে। নিচে তিনটি। সরু সিঁড়ি। অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। এমনিতেই পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর ৬০০ ছাত্রী বসার সংকুলান হয়না। তার ওপর ত্রিতলে যারা ক্লাস করে তাদের অবস্থা আরও সঙ্গীন। সারা বছর ছাদ ভেঙে পড়ার ভয় থাকে। বর্ষার সময় বাড়তি চাপ খোলা আকাশের মতোই রুমের ভেতর বৃষ্টি।
স্থানীয় পৌর প্রশাসন বলছে, ওই ভবন সংস্কার করার মতো পরিস্থিতিতে নেই। নতুন জায়গায় স্কুল ভবন না করলে ওই সমস্যা মিটবে না। কিন্তু সেই জায়গার সন্ধান করবে কে? সেই প্রশ্নই এখন সবার মুখে।