‘করোনার প্রচীন নাম ‘কাল চিমতি’ রোগ প্রতিরোধে আশ্চর্যজনক ওষুধ আবিষ্কার’ —দুর্গাপদ ঘাঁটি

[‘স্থানীয় সংবাদ’ এই প্রবন্ধের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছে না]
দুর্গাপদ ঘাঁটি: আজ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর এই ভয়ঙ্কর চরিত্র পালটানো ভাইরাসটির খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয়েছে।ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্র ঘেঁটে বিস্ময়কর তথ্য সামনে এসেছে- যে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে সাঙ্গধর মুনির লেখা গ্রন্থে এমনই জীবানুর(ভাইরাসের) নাম পাওয়া যায়।এবং রোগটির নাম ছিল ‘কাল চিমতি ‘। বর্তমান করোনার রোগের মতোই লক্ষ্মণ ছিল বলে গ্রন্থে উল্লেখ আছে। সেই সময় ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে জ্বর, সর্দি -কাশি ও প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হঠাৎ হঠাৎ মারা যেতে শুরু করে।কারও কারও ক্ষেত্রে কোন লক্ষ্মণই দেখা দিত না
অথচ হঠাৎই মারা যাচ্ছিল।তখন এই রোগে হাজার হাজার মানুষ মারাও গিয়েছিল।
তখনই আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পারদর্শী গবেষক চিকিৎসক সাঙ্গধর মুনি গবেষণালব্ধ ঔষধ আবিষ্কার করেন।প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের হাত ধরে মূল্যবান- মুক্তো,প্রবাল সহ আরও কিছু মূল্যবান ধাতব ভস্ম ও প্রায় চল্লিশ প্রকার গাছগাছড়া দিয়ে তৈরি মহৌষধ আবিষ্কার করে প্রয়োগ করতেই রোগটি সম্পূর্ণ থেমে যায়।
বর্তমান চিকিৎসা বিঞ্জানীদের মতে এই ভাইরাস প্রথমে ফুসফুসে বাসা বাঁধে ও অ্যালভিওলাই প্রকোষ্ঠগুলিতে ক্ষত সৃষ্টি করে এবং শরীরে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আরও জানা যায় শরীরের অন্যান্য অরগ্যানগুলোকেও মারাত্মক ভাবে ক্ষতি করে। ইদানিং চরিত্র পাল্টানো ভাইরাস খুবই অল্পসময়ে ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ দ্রুত কমিয়ে দেয় ও প্রবল শ্বাসকষ্টের ফলে অল্প সময়ের মধ্যে মারাও যাচ্ছে। আর যাদের শরীর দুর্বল ও ইমিউনিটি পাওয়ার কম ও কোমর্বিটি সমস্যা আছে তাদেই মৃত্যুর প্রবণতা বেশি বেশি যা বর্তমান খবরের শিরোনামে এসেছে।
বিশ্ববৈদিক যোগাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী অরূপানন্দ সরস্বতী মহারাজ সেই প্রাচীন কালের ‘কাল চিমতি’ যা বর্তমান করোনা বলে মনে করছেন।
তাঁর মতে সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। পাল্টেছে মানুষের জীবন যাপনের ধরন। এসেছে শুধুই ভোগের প্রবণতা। পরিবেশের দূষণ বেড়েছে।পাল্টেছে খাদ্যাভাস। ধীরে ধীরে ইমিউনিটি পাওয়ার মারাত্মক ভাবে কমেছে। মানুষ বর্তমান বেশি প্রচারিত চিকিৎসকদের পরামর্শে খাদ্য তালিকা অনুসরণ করছেন। তবে মানুষ এতো রোগে ভুগছেন কেন এবং উপচে পড়ছে কেন চিকিৎসা কেন্দ্র গুলি?
তাঁর মতে তখন কোন টীকা আবিষ্কার না হওয়া সত্বেও ভয়ংকর জীবানু যেমন -প্লেগ,কলেরা, গুঁটি বসন্তের মতো মারন রোগের সঙ্গে লড়াই করে বহু মানুষ শত বর্ষের বেশি জীবিত ছিলএটাতো সবাই জানা। আসলে কিছু চিকিৎসক রোগ প্রতিরোধের জন্য ‘ইমিউনিটির’ প্রয়োজন সে কথাকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিচ্ছেন। এটা যদি সত্যি না হবে তো বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তেমন চিকিৎসা না করে সুস্থ হচ্ছেন কি করে। তাই তাঁর মতে এই প্রকৃতির মধ্যেই রয়েছে ইমিউনিটি বাড়ানোর চাবিকাঠি। সেগুলিকে যথাযথ ব্যবহার করলে তা আসতে বাধ্য।
তিনি সেই সাঙ্গধর মুনির প্রাচীন ফর্মুলা অনুসরণ করে এবং তাঁর নিজস্ব ভাবনার নির্জাস নিয়েনএক
অতি আশ্চর্যজনক জীবনী বর্ধক ঔষধ তৈরি করে বেশ কিছু করোনা পজিটিভ রোগীকে খাইয়ে অভূতপূর্ব ফল পেয়েছেন। আশ্চর্যের বিযয় এই ঔষধ সেবনের পর ঐসব ব্যক্তি সারা বছর অন্যান্য যে সব রোগে ভুগতেন সে গুলোতেও আর তেমন ভুগছেন না।
তাঁর মতে, এই মহৌষধি যেমন মারন ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারে, তেমনি ইমিউনিটি পাওয়ার প্রচণ্ড ভাবে বাড়িয় দেয় সঙ্গে আয়ু বর্ধক ও বলবর্ধকও বটে। তাই যে কোন
ব্যক্তি এই ঔষধ সেবন করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন এই ঔষধ মাত্র তিন দিন সেবন করলে শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেউ কোন ভয় থাকবেনা।
সাতানব্বই বছর বয়সী প্রচার বিমুখ সন্যাসী ভারতের প্রাচীন বিদ্যার হাত ধরেই এখনও যেকোনো যুবকের থেকেও সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
প্রয়োজনে উক্ত মহারাজের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর ফোন নম্বরটিও দিয়েছেন -৯০০২৬৮৫৩৯৯
[উক্ত লেখাটি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতকারের একটি অংশ]

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!