মন্দিরা মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ঘাটালে টানা দু’দিন বৃষ্টির জেরে ঝিলের পাশের মাটিতে ধস। মাটির বেশ কয়েক ফুট নিচে চলে গেল দুটি বসতবাড়ি। চরম সমস্যায় ঘাটাল ব্লকের ঢেঁকির ঘাট পান্না এলাকার সাতটি পরিবারের সদস্যরা। জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে পাশের বাড়িতে। বাড়ির সদস্যরা কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসেন বাড়ি থেকে।
নিম্নচাপের ফলে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়ির দক্ষিণ পাশের বড় ঝিলের মাটি ধস নিতে থাকে। যার ফলে একটু একটু করে বাড়ির বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। বৃষ্টির জেরে মাটি বসে মাটির নিচে দিয়ে যাওয়া সজল ধারার পাইপ ফেটে যায়। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে সজল ধারার পাম্প চালালে পাইপের ফাটা অংশ দিয়ে অনবরত জল বের হতে থাকে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বাড়ির দক্ষিণ অংশ মাটি থেকে বেশ কয়েক ফুট নিচে বসে যায়। বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, আজ সকালে এই ঘটনা ঘটার পরই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সাহায্য মেলেনি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে। দুই বাড়ির মালিক দেবাশিস বধুক ও মহাদেব খাঁড়া বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ঘাটালের নদীতে ফেরি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছেন ঘাটালবাসী। তার মধ্যে বাড়ির এই অবস্থা। বাড়ির জিনিসপত্র সহ পরিবারের সদস্যরা কোথায় যাবে। প্রশাসন অতি সত্ত্বর কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করুক।
ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি দীপঙ্কর খাঁড়া বলেন, ওই জায়গাটি আমরা বস্তায় মাটি ভরে ও বাঁশ দিয়ে বাঁধাই করার চেষ্টা করছি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সাথে কথা বলে তার কাজও শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই।
মহাদেববাবু জানান, তাঁরা বেশ কয়েক পুরুষ ধরে অজবনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢেঁকিরঘাট পান্না এলাকায় বসবাস করছি। বাড়ির দক্ষিণ পাশে একটি বড় ঝিল রয়েছে। ওই ঝিলের পার বরাবর প্রায় ৪২ টি বসতবাড়ি রয়েছে। ঝিলের মালিক প্রায় সময়ই ঝিল থেকে মাটি কাটাই করেন। যারফলে প্রতিবছর বর্ষায় ঝিলের মাটি নিতে থাকে। বস্তা দিয়ে সাময়িকভাবে তাঁরা তা বাঁধাই করেন। বারবার ঝিলের মালিককে বারণ করা সত্ত্বেও তিনি কোনও কথাই শোনেন না। সেই মাটি বসে গিয়ে সজল ধারার পাইপ ফেটে আজ সকালে এই ঘটনা ঘটে।