তৃপ্তি পাল কর্মকার: দাসপুরের স্কুল আবার জেলার সেরার শিরোপা পেল। শুধু জেলার নয়, শিল্প নৈপুণ্যের দিক
দিয়ে রাজ্যের বহু স্কুলকে পেছনে ফেলে দিয়ে প্রথম সারিতে নিজের স্থান করে নিল দাসপুর-১ ব্লকের হাটসরবেড়িয়া ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় স্মৃতি শিক্ষা নিকেতন। ওই স্কুলকে আজ ১৩ ডিসেম্বর যামিনী রায় পুরস্কারের বিশেষ সম্মান দেওয়া হল। আজ কলকাতার রবীন্দ্র সদনে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, স্কুল এডুকেশন দপ্তরের মুখ্য সচিব সৌমিত্র মোহন এবং ইউনিসেফের প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ মাইতির উপস্থিতিতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটকের হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের মধ্যে মোট ১৩টি হাইস্কুলকে ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে হাটসরবেড়িয়া স্কুলটিও রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আর কোনও স্কুল এই পুরস্কার পায়নি।
ইউনিসেফ ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেওয়া হয় এই পুরস্কার। ইউনিসেফের প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়ে এসে তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও বিদ্যালয়ের ভিডিয়োগ্রাফি করে নিয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা নান্দনিক বিষয়ে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে, তাদের সাংস্কৃতিক অ্যাক্টিভিটি কতটা, যা শিখেছে সমাজে তার কতটা প্রতিফলিত করতে পেরেছে, সে সব বিষয়গুলো তাঁরা মূলত দেখেন।’ এই পুরস্কার পেতে হলে অনেকগুলি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। বৃন্দাবনবাবু বলেন, এর প্রথম ধাপ হল নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পাবার যোগ্যতা। রাজ্যের যে সমস্ত স্কুল এর আগে নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কার পেয়েছিল তাদের মধ্য থেকে প্রত্যেক বছর বিশেষ কয়েকটি স্কুলকে শিশু মিত্র পুরস্কার দেওয়া হয়। শিশুমিত্র পুরস্কার প্রাপকদের মধ্য থেকে ১৩টি হাইস্কুলকে এই যামিনী রায় পুরস্কার দেওয়া হয়। বৃন্দাবনবাবু বলেন, এই পুরস্কারে আমরা আপ্লুত। লেখাপড়া, পড়াশোনা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে স্কুলের মান আরও বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে এই পুরস্কার আমাদের আরও উৎসাহিত করবে।
মহকুমার বাসিন্দারা বলেন, ওই স্কুলটি এর আগেও অনেক পুরস্কার পেয়েছে। প্রত্যেক বছরই ওই স্কুল হয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, না হয় খেলাধুলা যে কোনও বিষয়েই জেলা বা রাজ্যের মধ্যে সেরা হয় বলে শুনেছি। পঠন-পাঠনের দিক থেকেও ওই স্কুলটি খুব ভালো। স্কুলের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ দেখলে সত্যই সকলের ভালো লাগবে। শিক্ষাদপ্তর যোগ্য স্কুলকেই যোগ্য সম্মান দিয়েছে।