করোনা:শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে বন্ধ হল হাট সরবেড়িয়া স্কুলে পঠনপাঠন!রইল প্রশ্ন?

করোনার সংক্রমণ রোধের ব্যবস্থা আছে তো কী হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ করোনা পরিস্থিতে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। নির্দেশ অমান্য করে কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্র দরদী হলে আইনের যাতা কলে পড়তে হবে শিক্ষকদের। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দাসপুরের হাট সড়বেড়িয়া হাইস্কুলের ঘটনা। বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের আবদনে সাড়া দিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বৃন্দাবন ঘটক এবং পরিচালন কমিটির সভাপতি। বুধবার ১২ আগস্ট দুপুর ১২টায় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের এতদিনের কিছু সমস্যার সমাধানে কয়েকজন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাস নেন।

করোনায় সামাজিক দূরত্ব মেনেই সব হয় বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা যে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ বিরোধী এবং এর জেরে যে চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে ছাত্র দরদি বৃন্দাবনবাবু বোধহয় আবেগের বসে তা ভুলে গিয়েছিলেন। ক্লাস শুরুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজ্যের অন্যন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে রাজ্যের শিক্ষাবিদ সবাই একবাক্যে বৃন্দাবনবাবুর সমালোচনায় সরব হন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালেই স্কুলে পৌঁছে যান জেলার এ ডি আই,নাড়াজোল ২ চক্রের এস আই। আবার বন্ধ করে দেওয়া হয় ক্লাস। মৌখিকভাবে শোকজ করা হয় বৃন্দাবন বাবুকে। বলা হয় ক্লাস শুরুর বিষয়ে লিখিতভাবে প্রমাণসহ প্রত্যুত্তর দিতে। ৩০ বছর ধরে শিক্ষকতা জীবনে এমন ঘটনা ব্যথিত করে বৃন্দাবন বাবুকে। সমস্ত মিডিয়ার কাছে চোখের জলে ক্ষমা চান তাঁর কৃতকর্মের জন্য। লিখিতভাবে তাঁর কথা জানিয়ে দেন শিক্ষা দপ্তরকে।

শাস্তি যাই হোক, শিক্ষক ছাত্রদের সমস্যায় তাদের ডাকে সাড়া দিতে গিয়েই এই বিপত্তি। এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রশ্ন রেখেছেন,শিক্ষক যখন টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট টিউশন করছেন সেখানে কি থাকছে সামাজিক দূরত্ব? সেখানে থাকছে না করোনা সংক্রমণের ভয়?

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!