রবীন্দ্র কর্মকার (9933998177): ধুলোয় ধূসরিত ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক। পথচারীদের নাক-মুখ-সর্বাঙ্গ সাদা ধুলোয় মাখা। ভদ্রস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই সড়ক দিয়ে গেলেই পোশাক-আশাক নোংরা হয়ে অভদ্র হয়ে যাচ্ছে। এই
সড়কটির বেহাল দশায় পথচারীদের নাভিশ্বাস উঠেছে। সাদা ধুলোর চোটে পথচারী সহ অন্যান্য যাত্রীদের চোখে-নাকে ধুলো ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই সড়ক দিয়ে যেতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের জুতা আবিষ্কার কবিতার এই লাইনটির কথাই বারবার মনে পড়ে— …করিতে ধুলা দূর, জগৎ হ’ল ধুলায় ভরপুর। পাঁশকুড়া রেলস্টেশন থেকে মেচগ্রাম হয়ে উত্তরদিক বরাবর ঘাটাল পর্যন্ত পিচ রাস্তাটি বেশ কয়েকটি থানার মানুষের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। অথচ এই সড়কটির এখন এমনই দশা যে এই সড়কটি দিয়ে যেতেই ভয় পাচ্ছেন জনসাধারণ। মাত্র কয়েকমাস আগে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটিকে সংষ্কার করা হয়। কিন্তু সড়কটির উপর ওভারলোডেড ট্রাক সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় রাস্তাটির পিচ উঠে পুরো রাস্তাটিই গর্ত হয়ে মরণ কুঁয়াতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রায় প্রত্যেকদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের দুশোতম জন্মদিন পালন করতে এই রাস্তা দিয়ে ঘাটালের বীরসিংহে আসবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই তড়িঘড়ি করে এই সড়কটির গর্তগুলি স্টোনচিপ ও অ্যাশ দিয়ে বুজিয়ে দেবার কাজ চলছে। আর তা করতে গিয়ে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত যন্ত্রণা আরও বেড়ে গিয়েছে। গাড়ির হাওয়াতেই গর্ত বোজানোর ওই অ্যাশ সাদা কুয়াশার মত উড়ছে। ওই প্রচন্ড ধুলিঝড়ে চোখ মেলে রাস্তা চলা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে জনসাধারণের। ধুলোতে চোখ মেলে তাকানো যাচ্ছে না, আবার চোখ বন্ধ করলেই বড়বড় গাড়িগুলি যমদূতের মত সামনে এসে হাজির হচ্ছে। এই অবস্থায় ক্ষুব্ধ মানুষজন ও পথচারীরা রাস্তাটিকে ফোরলেন করার জোরালো দাবি তুলেছেন।