তৃপ্তি পাল কর্মকার: উপজাতিদের উৎসব ও সংগঠন নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ ঘাটালের মহকুমা শাসকের কার্যলয়ে বিক্ষোভ দেখাল আদিবাসী সংগঠন। আজ ২৯জুন ভারত জাকাত মাঝি পারগানার মহলের ঘাটাল তল্লাটের পক্ষ থেকে মহকুমা শাসকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিক্ষোভ সামলাতে ব্যাপক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। বিক্ষোভকারীরা মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে শ্লোগানও তোলেন।
ওই সংগঠনের সদস্যরা বলেন, একজন মহকুমা শাসক আমাদের সংগঠন ও উৎসব নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। মহকুমা শাসক হয়ে এভাবে মন্তব্য করতে পারেন না। এর তীব্র নিন্দা করছি।
মহকুমা শাসক অসীম পাল বলেন, আমি এই ধরনের কোনও মন্তব্য করিনি। এর বেশি কিছু সাংবাদিকদের বলতে চাই না। তবে আজকের ঘটনায় আমি হতাশ।
মহকুমা শাসকের হতাশ হওয়ার কথা। কারণ জাতিগত শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে এই মহকুমায় সর্বকালীন নজির সৃষ্টি করেছেন ঘাটালের মহকুমা শাসক অসীম পাল। শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে নথির সরলীকরণ করার জন্যই এই সাফল্য এসেছে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে, বিগত ৯ বছরে তথা ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তফসিলি উপজাতিদের শংসাপত্র ইস্যু হয়েছিল মাত্র দেড় হাজারটি। বছরের হিসেবে গড়ে ১৬৬ টি করে প্রতি বছর। আর এই মহকুমা শাসক অসীমবাবুর আমলে এক বছরে ২ হাজার ২৪৫ জন তফসিলি উপজাতির হাতে ইতি মধ্যেই শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। মহকুমার প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবারকে মহকুমা শাসকের উদ্যোগ এই করোনাতে বিশেষ ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই মহকুমা শাসকের উদ্যোগে খুশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের সিংহভাগ মানুষ।
তাহলে আজ মহকুমা শাসককে অপদস্থ করতে এটা করা হল কেন? এর উত্তরে এক আদিবাসী যুবক রাকেশ নায়েক বলেন, চক্রান্ত করে এসব করা হয়েছে। আগে আদিবাসীদের শংসাপত্র বার্ধক্য ভাতা করাতে হলে আদিবাসীদেরই কিছু মানুষ টাকার দাবি করতেন। সেই চক্রকে ভেঙে দিয়েছেন অসীমবাবু। এখন শংসাপত্রের জন্য কোনও টাকা লাগে না। বরং অতি সহজেই শংসাপত্র পাওয়া যায়। সেটাও রাগের কারণ হতে পারে বলে মনেকরছি।