নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘাটাল মহকুমার প্রত্যেকটি মিষ্টির দোকানের মিষ্টিতে ওযুধের মতো লিখে রাখতে হবে এক্সপায়ারি ডেট। জুন ২০২০ থেকে এই নিয়ম চালু হবে। খদ্দেরকে ভুল বুঝিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া মিষ্টি আর বিক্রি করতে পারবেন না দোকানদাররা। তবে শুধু ঘাটাল মহকুমা নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইন অনুযায়ী সারা দেশের মিষ্টি বিক্রেতাদের এবার মিষ্টিতে এক্সপায়ারি ডেট দিতে হবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অব ইন্ডিয়া তথা এফ.এস.এস.এ.আইয়ের জারি করা নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দোকানে বিক্রির জন্য রাখা মিষ্টি কত দিনের মধ্যে খাওয়া যাবে তা লিখিত আকারে খদ্দেরদের জানাতে হবে। এটা দোকানদারের ক্ষেত্রে বাধ্যতা মূলক। আগে এই নিয়ম শুধুমাত্র প্যাকেট মিষ্টির বলবৎ থাকত।
ঘাটাল মহকুমার ফুড সেফটি অফিসার অরুণাভ দে বলেন, এবার থেকে শুধুমাত্র যে প্যাকেট মিষ্টিতেই এই নির্দেশ জারি হবে তা নয়। খুচরো মিষ্টির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে। তাই প্রতিটি খুচরো মিষ্টির দোকানিকেও এই নির্দেশ মানতে হবে। এই নতুন নিয়ম বলবৎ হচ্ছে এই বছর জুন মাস থেকে।
ঘাটাল মহকুমায় বাসি, পচা, টক মিষ্টি বিক্রির অভিযোগ তো আছেই। সেই সঙ্গে কোনও দোকানেই স্বাস্থ্য বিধি মানা হয় না। প্রচণ্ড নোংরা ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষিত করা হয়, দই, মিষ্টি, পনির। ফ্রিজের দিকে তাকালেই গা গুলিয়ে ওঠে। তবুও মানুষ মিষ্টি দোকান আসে, কিনে নিয়ে যায়। কেন না লোভ সামলাতে পারে না তাই। যাই হোক মিষ্টি বিক্রির ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম চালু হলে ঘাটাল মহকুমার মিষ্টি প্রেমীরা উপকৃত হবেন। এখন দেখার বিষয় এটাই যে এই নতুন নিয়ম কতটা মানবেন ঘাটাল মহকুমায় মিষ্টি প্রেমীরা।
ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি অব ইন্ডিয়ার নয়া নির্দেশিকায় মাথায় হাত মিষ্টি দোকানদারেদের। অধিকাংশ মিষ্টিই তো ডেকচি রেখে বিক্রি করা হয়। তাহলে সেই মিষ্টির গায়ে এক্সপায়ারি ডেট লাগানো যাবে কী করে? এর উত্তরে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের পরামর্শ, দরকার হলে রসগোল্লা, পান্তুয়া, রসমালাইয়ের মতো মিষ্টিগুলি তৈরির পরই মিষ্টি দোকানদারকে ছোট ছোট প্যাকেট করে মিষ্টিগুলি ভরে রাখতে হবে। সেই প্যাকেটে তৈরির এবং এক্সপায়ারি ডেট লিখে দিতে হবে। এবার খদ্দেররা প্রতীক্ষায় রয়েছেন। জুন মাস থেকে কীভাবে তাঁরা মেয়াদের তারিখ লেখা মিষ্টি হাতে পান।