মনসারাম কর: বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বীরসিংহ সহ ঘাটাল ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ হাজির হলেন জেলা শাসকের কাছে। জেলাশাসক রস্মি কমল শুনলেন সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগের কথা। থিকথিকে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে জেলা শাসক,
অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিও ও পুলিশ আধিকারিকদের। আজ ৫ সেপ্টেম্বর বীরসিংহের ভগবতী হাইস্কুলে খোলা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসহায়ক কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক রশ্মি কমল সহ সমগ্র জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। কার্যত আজ এই স্কুল চত্বর হয়ে উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয়। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার দিনেস কুমার এবং ঘাটালের একাধিক পুলিশ আধিকারিক।
জেলার সর্বোচ্চ আধিকারিকদের সামনে পেয়ে ঘাটালের মানুষ তাদের ক্ষোভ তুলে ধরেন, জেলাশাসক নিজে টানা কয়েক ঘন্টা ধরে আবেদনের শুনানি করে বিভিন্ন দপ্তর মারফত আবেদনকারীদের শাড়ি, বিশেষ ক্ষেত্রে টাকা, প্রতিবন্ধীদের জন্য ট্রাইসাইকেল দেন। এবং শৌচালয়, বাড়ি তৈরি, ১০০ দিনের কাজ, হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য সরকারি সাহায্য অতিসত্বর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তার মাঝেই জেলাশাসক বীরসিংহ গ্রামীণ লাইব্রেরী, স্মৃতি মন্দির ও স্কুল মাঠ পরিদর্শন করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী আসার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনাও করেন ও বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তবে এখানে উপস্থিত হওয়া সকল আবেদনকারী যে সন্তুষ্ট তা কিন্তু নয়, অনেকেই বহুদিন ধরে প্রশাসনের বিভিন্ন রকম পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। বীরসিংহ গ্রামের রীনা ভুইঞা নামে এক প্রতিবন্ধী মহিলা বলেন, অনেকদিন ধরে পঞ্চায়েত অফিসে ঘুরে কোনও ভাতা পায়নি, কবে পাবো সেই অপেক্ষায় আছি। রথিপুরের এক বৃদ্ধা বাড়ি চেয়ে না পাওয়ায় ক্ষোভ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এই নিয়ে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী প্রথম বীরসিংহ গ্রামে আসবেন। তিনি আসার আগে এখানকার মানুষের চাহিদার কথা প্রশাসনের তরফ থেকে জেনে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রসঙ্গত সন্ধ্যার পর পর্যন্ত এখানে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা যায়, জেলাশাসক সন্ধ্যার অনেকটা পর পর্যন্ত থেকে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান।